কেন্দ্রীয় ভিজিল্যান্স কমিশনের (সিভিসি) ভূমিকা কেবল নীরব দর্শকের কি না, তা জানতে চাইল সুপ্রিম কোর্ট। কয়লা কেলেঙ্কারি মামলায় সিভিসি আইন বিচারের সময়ে এই প্রশ্ন তুলেছে বিচারপতি আর এম লোঢা, বিচারপতি এম বি লোকুর ও বিচারপতি কুরিয়ান জোসেফের বেঞ্চ। ওই মামলায় আজ প্রথম চার্জশিটও দিয়েছে সিবিআই।
সুপ্রিম কোর্টের নজরদারিতে কয়লা কেলেঙ্কারি মামলার তদন্ত করছে সিবিআই। কয়লাখনি বণ্টনে দুর্নীতি সংক্রান্ত এই মামলায় অভিযোগের আঙুল উঠেছিল প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহের প্রতিও। সিবিআই ‘খাঁচায় বন্ধ তোতা’ বলেও মামলার শুনানিতে মন্তব্য করেছিল শীর্ষ আদালত। বার বারই রাজনৈতিক প্রশাসনের দুর্নীতি ও তদন্তকারী সংস্থাগুলির নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে শুনানিতে।
১৯৬৪ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে শান্তনম কমিটির সুপারিশ মেনে তৈরি হয় সিভিসি। দুর্নীতি রোধে বিভিন্ন কেন্দ্রীয় সরকারি দফতরকে সাহায্য করাই সিভিসি-র কাজ। কয়লা মামলায় সিবিআইয়ের সঙ্গে সিভিসি-র সম্পর্কের ব্যাখ্যা চেয়েছিল বেঞ্চ। আজ সিভিসি-র কৌঁসুলি অনিল দিওয়ান জানান, দুর্নীতির মামলার তদন্তে সিভিসি নজরদারি করে ঠিকই। তবে সিবিআইয়ের সঙ্গে দূরত্বও বজায় রাখে। কোনও নির্দিষ্ট মামলায় নির্দেশ দেওয়া বা তদন্তে হস্তক্ষেপ করার এক্তিয়ার সিভিসি-র নেই।
কয়লা কেলেঙ্কারি মামলায় আবেদনকারী স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার কৌঁসুলি প্রশান্ত ভূষণ বলেন, “সিভিসিকে হাস্যাস্পদ করতে না চাইলে তার ক্ষমতার আরও বিশদ ব্যাখ্যা প্রয়োজন।”
তিন বিচারপতির বেঞ্চের মতেও, তদন্ত রিপোর্ট বা তদন্তের অগ্রগতির রিপোর্ট নেওয়া ছাড়া সিভিসি-র আর কিছু করার নেই। বেঞ্চের মতে, তবে কি সিভিসি কেবল নীরব দর্শক? তাতে লাভটা কি?
এই মামলায় আজ নবভারত পাওয়ার লিমিটেড নামে একটি সংস্থা ও তার পরিচালন পর্ষদের দুই সদস্য পি ত্রিবিক্রম প্রসাদ ও ওয়াই হরিশচন্দ্র প্রসাদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দিয়েছে সিবিআই। কয়লাখনি পেতে নবভারত পাওয়ার লিমিটেড মিথ্যা তথ্য দিয়েছিল বলে জানিয়েছেন তদন্তকারীরা। এই ষড়যন্ত্রে কেন্দ্রীয় কয়লা মন্ত্রক ও ঝাড়খণ্ড সরকারের কিছু অফিসারও জড়িত ছিলেন বলে অভিযোগ সিবিআইয়ের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy