Advertisement
E-Paper

সীমান্ত-সড়কে দ্বিগুণ বরাদ্দ, দেশে অস্ত্রশস্ত্র তৈরিতে জোর অর্থমন্ত্রীর

অল্প কিছু দিন আগের কথা। দেশের রেল মানচিত্রে ঢুকেছিল অরুণাচল প্রদেশ। সেই অনুষ্ঠান উপলক্ষে অরুণাচলে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কড়া ভাষায় চিন জানিয়েছিল, অরুণাচল ‘বিতর্কিত এলাকা’। সেখানে গিয়ে মোদী দু’দেশের সম্পর্কে নতুন ভাবে অস্বস্তি তৈরি করেছেন।

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ০১ মার্চ ২০১৫ ০৩:২০

অল্প কিছু দিন আগের কথা। দেশের রেল মানচিত্রে ঢুকেছিল অরুণাচল প্রদেশ। সেই অনুষ্ঠান উপলক্ষে অরুণাচলে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কড়া ভাষায় চিন জানিয়েছিল, অরুণাচল ‘বিতর্কিত এলাকা’। সেখানে গিয়ে মোদী দু’দেশের সম্পর্কে নতুন ভাবে অস্বস্তি তৈরি করেছেন।

চিন ও পাকিস্তানের সঙ্গে সীমান্ত বিবাদকে লোকসভা ভোটের আগে থেকেই বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছেন নরেন্দ্র মোদী ও তাঁর সহযোগীরা। ভারত-চিন সীমান্তে বেজিংয়ের সড়ক ও অন্য পরিকাঠামো তৈরি নিয়ে বিশেষ উদ্বিগ্ন কেন্দ্র। তারই প্রতিফলন ঘটেছে চলতি বছরের বাজেটে। চিন ও পাকিস্তান সীমান্তে সড়ক তৈরির জন্য বরাদ্দ প্রায় দ্বিগুণ বাড়িয়েছে মোদী সরকার।

লাদাখ অঞ্চলের ‘কারাকোরাম পয়েন্ট’ থেকে অরুণাচলের ‘ফিশ টেল’ পর্যন্ত ৪,০৫৬ কিলোমিটার বিস্তৃত চিন সীমান্ত। চিনের দিকে ভাল রাস্তা থাকায় সহজেই নিজেদের শেষ বর্ডার পোস্টে পৌঁছে যেতে পারে চিনা সেনা। কিন্তু ভারতীয় সেনা ও ভারত-তিব্বত সীমান্ত পুলিশকে রাস্তার জন্য সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। ওই সীমান্তের জন্য গত বার ১৫৬.৪৬ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছিল। বাজেটে সেই বরাদ্দ বাড়িয়ে ৩০০ কোটি টাকা করার প্রস্তাব দিয়েছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি। ভারত-পাক সীমান্তে রাস্তা তৈরির জন্য বরাদ্দও প্রায় ১০০ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে। রাস্তা তৈরি ছাড়াও সীমান্তে ফ্লাড লাইটিং, অনুপ্রবেশ রুখতে উন্নত প্রযুক্তির যন্ত্র বসাতে ওই টাকা ব্যবহার করা হবে। ভারত-ভুটান ও ভারত-মায়ানমার সীমান্তে পরিকাঠামো তৈরির ক্ষেত্রেও বরাদ্দ বাড়িয়েছেন জেটলি।

তবে গত বাজেটের বরাদ্দের অল্পই ব্যবহার করা গিয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের কর্তারাই। বরাদ্দ বাড়ানোর পাশাপাশি প্রকল্প রূপায়ণের বিষয়টিতেও বিশেষ জোর দিতে হবে বলে মনে করেন তাঁরা।

চলতি বাজেটে প্রতিরক্ষা খাতে বরাদ্দ ১০.৯৫ শতাংশ বাড়িয়েছেন জেটলি। প্রতিরক্ষা উৎপাদনের ক্ষেত্রে সরকার ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ নীতির উপরেই জোর দিতে চায় বলে আজ ফের জানিয়েছেন জেটলি। তাঁর ব্যাখ্যা, ইতিমধ্যেই প্রতিরক্ষায় প্রত্যক্ষ বিদেশি লগ্নির অনুমতি দিয়েছে কেন্দ্র। ভারতীয় প্রতিরক্ষা সংস্থাগুলি যাতে দেশের চাহিদা মিটিয়ে রফতানির পথে হাঁটতে পারে, সে জন্যই এই পদক্ষেপ করা হয়েছে। জেটলির কথায়, “বিমান-সহ অস্ত্রশস্ত্র ও সরঞ্জাম ভারতে তৈরির উপরে জোর দিতে চায় সরকার।”

central budget 2015 border roads
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy