সেই সয়ুজ রকেট, যাতে মাঝ-আকাশে গোলযোগ দেখা দেয়, বৃহস্পতিবার। ছবি- সংগৃহীত।
আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে যাওয়ার পথে রকেট বিগড়ে যাওয়ায় অল্পের জন্য বেঁচে গেলেন দুই মহাকাশচারী। তাঁদের আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে পাঠানোর লক্ষ্যে ‘সয়ুজ’ মহাকাশযানকে পিঠে চাপিয়ে কাজাখস্তানের বৈকানুর থেকে রওনা হয়েছিল একটি বুস্টার রকেট। কিন্তু মাঝ-আকাশেই বিগড়ে যায় রকেটটি। ফলে, প্রাণে বাঁচতে তড়িঘড়ি মাটিতে নেমে আসতে হয় দুই মহাকাশচারীকে।
মাসদেড়েক আগে এই ‘সয়ুজ’ মহাকাশযানেই একটি ফুটো দেখা দেওয়ায় খুব বিপদে পড়ে গিয়েছিলেন আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে থাকা মহাকাশচারীরা। দুই মহাকাশচারী ওই সময় তড়িঘড়ি ফুটো বন্ধ করে দিয়ে বড় বিপত্তির হাত থেকে বাঁচান আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনকে।
রকেটের পিঠে চাপানো ‘সয়ুজ’ মহাকাশযানে ছিলেন রুশ মহাকাশচারী অ্যালেক্সেই ওভচিনিন ও মার্কিন নভশ্চর নিক হেগ। মহাকাশযানের ভেতর থেকে পাঠানো ভিডিয়ো ফুটেজে দুই মহাকাশচারীকে ওই দুর্ঘটনার সময় রীতিমতো কাঁপতে দেখা গিয়েছে।
আরও পড়ুন- অন্তর্ঘাতের চেষ্টা হয়েছিল মহাকাশ স্টেশনে? তদন্ত হবে, জানাল নাসা ও রসকসমস
আরও পড়ুন- স্পেস স্টেশনের দেওয়ালে ফুটো, আঙুল দিয়ে আটকালেন নভশ্চর, কাটল বড় বিপদ
তখনও রকেট উৎক্ষেপণ হয়নি। অপেক্ষায় সয়ুজ মহাকাশযানের দুই মহাকাশচারী নিক হেগ (বাঁ দিকে) ও অ্যালেক্সেই ওভচিনিন। কাজাখস্তানের বৈকানুরে। বৃহস্পতিবার
বৈকানুর থেকে বৃহস্পতিবার ওই রকেট উৎক্ষেপণের সময় উৎক্ষেপণ স্থল থেকে এক কিলোমিটার দূরে দাঁড়িয়েছিলেন সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের এক সাংবাদিক। তিনি জানিয়েছেন, উৎক্ষেপণের পর আকাশে উঠে যাওয়ার সময় রকেটের কোনও গলদ তাঁর চোখে পড়েনি। রকেটটি যখন আরও উচ্চতায় উঠে ওই সাংবাদিকের নজরের বাইরে চলে যায়, তখনই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে বলে বিশেষজ্ঞদের অনুমান।
সাধারণত, আকাশে একটা নির্দিষ্ট উচ্চতায় পৌঁছে বুস্টার রকেট তার পিঠে চাপানো যে কোনও মহাকাশযানকে তার লক্ষ্যে পাঠানোর জন্য ছুঁড়ে দেয়। বিশেষজ্ঞদের ধারণা, এ ক্ষেত্রে, সেই সময়েই কোনও যান্ত্রিক গোলযোগ ঘটেছিল রকেটটিতে।
মাসদেড়েক আগে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন অল্পের জন্য যে বিপদের হাত থেকে বেঁচে গিয়েছিল, তা আদতে ‘নাশকতার ঘটনা’ বলে অভিযোগ ওঠে কোনও কোনও মহলে। তার প্রেক্ষিতে নাসা ও রসকসমস যৌথ ভাবে ওই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ইতিমধ্যেই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy