Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪
USA

২৪ ঘণ্টায় ২ লক্ষ ছাড়াল আক্রান্ত, সংক্রমণের সব রেকর্ড ভাঙল আমেরিকা

আমেরিকার সংক্রমণ হু হু করে বাড়তে থাকায় গোটা বিশ্বে করোনা রোগীর সংখ্যাও এক লাফে অনেকটাই বাড়ল। বিশ্বে মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হল ৬ কোটি ১৫ লক্ষ ৯২ হাজার ৯৫।

ছবি: রয়টার্স।

ছবি: রয়টার্স।

সংবাদ সংস্থা
ওয়াশিংটন শেষ আপডেট: ২৮ নভেম্বর ২০২০ ১২:৩৮
Share: Save:

আমেরিকায় এক লাফে দৈনিক সংক্রমণ প্রায় দ্বিগুণের কাছাকাছি পৌঁছে গেল। দৈনিক সংক্রমণের নিরিখে যা রেকর্ড। গত ২৪ ঘণ্টায় ২ লক্ষের বেশি মানুষ নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন সেখানে। জন্স হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের রিপোর্ট অনুযায়ী, শনিবার নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন ২ লক্ষ ৫ হাজার ২৪ জন। ফলে এ নিয়ে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ১ কোটি ৩০ লক্ষ ৮৮ হাজার ২৮২। আমেরিকার সংক্রমণ হু হু করে বাড়তে থাকায় গোটা বিশ্বে করোনা রোগীর সংখ্যাও এক লাফে অনেকটাই বাড়ল। বিশ্বে মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হল ৬ কোটি ১৫ লক্ষ ৯২ হাজার ৯৫।

আমিকায় সংক্রমণ বাড়ার পিছনে বেশ কয়েকটি কারণ দেখছেন বিশেষজ্ঞরা। দু’দিন আগেই কোভিড ট্র্যাকার প্রজেক্ট-এর এক সমীক্ষায় উঠে আসে, আমেরিকার ‘হার্টল্যান্ড’-এর স্টেটগুলো যেমন সাউথ ডাকোটা, নেব্রাস্কা, কানসাস, উইসকনসিন-সহ বহু স্টেটে পরিস্থিতি ক্রমে ভয়াবহ হয়ে উঠছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এত দিন সংক্রমণ মোটামুটি ভাবে বড় শহরগুলোর মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল। কিন্তু সেই সংক্রমণ ক্রমে গ্রামীণ এলাকা এবং আমেরিকার প্রত্যন্ত অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে। ফলে আক্রান্তের সংখ্যাও হু হু করে বাড়তে শুরু করেছে।

দ্রুত হারে সংক্রমণ বাড়তে থাকায় হাসপাতালগুলোতেও শয্যার আকাল দেখা দিয়েছে। শুধু তাই নয়, চিকিত্সক, নার্স এবং চিকিত্সা পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত কর্মীরা কোভিড আক্রান্ত হওয়ায় পরিষেবা বিঘ্নিত হচ্ছে বলে জানান এক চিকিত্সক। সবচেয়ে শোচনীয় অবস্থা ছোট শহর এবং গ্রামীণ এলাকাগুলোর। বিশেষজ্ঞরা আগেই সতর্ক করেছিলেন, নভেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি এই কয়েক মাস খুব সতর্ক থাকতে হবে। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, মিডওয়েস্টে-র বহু স্টেটে কোভিড নিয়ে একটা ‘অনীহা’ তৈরি হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের দাবি, বার বার সতর্ক করা সত্ত্বেও মানুষ মাস্ক ব্যবহার করছেন না। সামাজিক দূরত্ব পালন না করে জমায়েত করছেন। আমেরিকার সংক্রমণ জেটগতিতে বাড়ার এটা অন্যতম প্রধান কারণ বলেই মত বিশেজ্ঞদের।

আরও পড়ুন: বেশ খানিকটা কমল দৈনিক সংক্রমণ, হ্রাস সক্রিয় রোগীর সংখ্যাতেও

 

‘থ্যাঙ্কসগিভিং ডে’র পর বড় দিন আসছে। এমন পরিস্থিতিতে সংক্রমণ আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। দ্য সেন্টার ফর ডিজিস কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি) এই আশঙ্কার বিষয়টি মাথায় রেখেই জানসাধারণকে বাড়িতেই উত্সব পালনের সতর্কবার্তা দিয়েছে। সিডিসি-র এক আধিকারিক জানান, যদি এখনই সতর্ক না হন সাধারণ মানুষ তা হলে এই উত্সবই হতে পারে ‘দ্য মাদার অব অল সুপার-স্প্রেডার ইভেন্টস’।

সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি তো আছেই, পাল্লা দিয়ে বেড়ে চলেছে মৃত্যুর সংখ্যাও। জন্স হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের রিপোর্ট অনুযায়ী, ইতিমধ্যেই আমেরিকায় মৃত্যু হয়েছে ২ লক্ষ ৬৪ হাজার ৮৫৮ জনের। গোটা বিশ্বে মৃত্যু হয়েছে ১৪ লক্ষ ৪২ হাজার ৬৬৪ জনের। যে গতিতে মৃত্যু বাড়ছে তা ঠেকাতে এখনই যদি আরও কড়া পদক্ষেপ না করা হয় তা হলে মাঝ ডিসেম্বরের মধ্যে এই সংখ্যাটা ৩ লক্ষ ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে সতর্কবার্তা দিয়েছে সিডিসি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

USA Coronavirus
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE