সৌদি রাজধানীতে পাক প্রধানমন্ত্রী। ছবি: এএফপি।
২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের পর ফের ভারতের সঙ্গে শান্তি প্রক্রিয়া চালু করতে উদ্যোগ নেবে পাকিস্তান। মঙ্গলবার সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াধে এই মন্তব্য করলেন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান।
ইমরান বলেছেন, ভারতের সঙ্গে শান্তির সম্পর্ক তৈরি করতে তিনি যথেষ্ট চেষ্টা করেছেন, কিন্তু ভারতের তরফে কোনও সাড়া মেলেনি। তবে তিনি হাল ছাড়বেন না। ২০১৯ সালে ভারতে সাধারণ নির্বাচনের পর তিনি ফের আলাপ আলোচনার প্রস্তাব দেবেন।
গত সেপ্টেম্বরেই ভারত-পাক বিদেশমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক বাতিল করে দিয়েছিল নয়াদিল্লি। ভারতের যুক্তি ছিল সীমান্ত অতিক্রম করে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিরা যখন কাশ্মীরের নিরাপত্তারক্ষীদের খুন করছে, তখন পাকিস্তানের সঙ্গে শান্তিপ্রক্রিয়া চালিয়ে নিয়ে যাওয়ার কোনও অর্থ হয় না। একই সঙ্গে পাকিস্তানের একটি পোস্টেজ স্ট্যাম্পেও ভারত বিরোধী এক জঙ্গিকে গৌরবান্বিত করা নিয়ে আপত্তি জানিয়েছিল নয়াদিল্লি।
আরও পড়ুন: দু’ বোতল জল দিয়ে সাত লক্ষ টাকা টিপস!
ইমরানের মন্তব্যে কিন্তু নয়া বিতর্ক তৈরি হতে পারে। প্রশ্ন উঠতে পারে, তাহলে কি মোদী সরকারেই ইমরানের আপত্তি? নাকি নির্বাচনের আগে ভারতের সামগ্রিক রাজনৈতিক পরিস্থিতিতেই ভরসা নেই ইমরানের।
আরও পড়ুন: নিশ্চিহ্ন হওয়ার মুখে সোনার চেয়েও দামি ‘হিমালয়ান ভায়াগ্রা’, উদ্বিগ্ন গবেষকেরা
শুধু ভারত নয়, এই মুহূর্তে সারা পৃথিবীতেই বন্ধুর খোঁজে মরিয়া ইমরান। চরম বিপর্যয়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে পাক অর্থনীতি। সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যথোপযুক্ত ব্যবস্থা না নেওয়ায় মার্কিন বিধিনিষেধের মুখেও পড়েছে ইসলামাবাদ। সৌদি আরবের কাছেও আর্থিক সাহায্য চাইছে ইসলামাবাদ। আন্তর্জাতিক অর্থভাণ্ডারের দ্বারস্থও হয়েছে পাক সরকার। সব মিলিয়ে ব্যাট করতে নেমে পিচটা এখনও ঠিক সুবিধের ঠেকছে না পাক অধিনায়কের। হয়তো সেই কারণেই ঘুরে ফিরে ভারতের সঙ্গেই সম্পর্ক ভাল করতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন ইমরান।
(সব গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক খবর জানতে চোখ রাখুন আমাদের আন্তর্জাতিক বিভাগে।)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy