Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪
IAF

‘যুদ্ধ নয়’, সরব হচ্ছে কাঁটাতারের দুই প্রান্তেরই কন্ঠস্বর

নিয়ন্ত্রণরেখার দুই পারে যতই জটিল হচ্ছিল পরিস্থিতি, ততই দুই প্রান্তে প্রকট হচ্ছে ‘যুদ্ধ চাই যুদ্ধ চাই’ রব। কিন্তু এত কিছুর মধ্যেও ধীরে হলেও ক্রমশ সরব হচ্ছে যুদ্ধ বিরোধী কন্ঠস্বর।

যুদ্ধ থেকে মুক্তি চেয়ে উঠছে আওয়াজ। ছবি: পিটিআই

যুদ্ধ থেকে মুক্তি চেয়ে উঠছে আওয়াজ। ছবি: পিটিআই

সংবাদ সংস্থা
শেষ আপডেট: ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ১৬:২৯
Share: Save:

গত ১৪ ফেব্রুয়ারি কাশ্মীরের পুলওয়ামায় জঙ্গি হানায় পর থেকেই জোরালো হয়েছিল ‘যুদ্ধ চাই’ রব। তারপর ঠিক পুলওয়ামা হামলার ঠিক ১২ দিনের মাথায় পাক অধিকৃত কাশ্মীরের বালাকোটে ভারতীয় বায়ু সেনার হামলায় গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় জঙ্গি গোষ্ঠী জইশ-ই-মহম্মদের ডেরা। হামলার জবাব দিতে পাক যুদ্ধ বিমান ঢুকে আসে ভারতের আকাশসীমায়। পাক সীমানায় গিয়ে তাদের সেনার হাতে বন্দি হয়ে পড়েন ভারতীয় বায়ুসেনার পাইলট অভিনন্দন বর্তমান।

নিয়ন্ত্রণরেখার দুই পারে যতই জটিল হচ্ছিল পরিস্থিতি, ততই দুই প্রান্তে প্রকট হচ্ছে ‘যুদ্ধ চাই যুদ্ধ চাই’ রব। কিন্তু এত কিছুর মধ্যেও ধীরে হলেও ক্রমশ সরব হচ্ছে যুদ্ধ বিরোধী কন্ঠস্বর।

সোশ্যাল মিডিয়ায় দুই দেশেরই বেশ কিছু মানুষ যুদ্ধের পরিণাম নিয়ে সাবধান করে দিতে চাইছেন বাকি জনসাধারণকে। ক্রমশই ট্রেন্ডিং তালিকায় উপরের দিকে উঠে আসছে হ্যাশট্যাগ ‘না বলুন যুদ্ধকে’।

আরও পড়ুন: কী ভাবে চলে জইশ নেটওয়ার্ক? কোথা থেকে আসে টাকা?

কেউ কেউ লিখেছেন যে, ‘যারা যুদ্ধে যায়, তারা যুদ্ধ চায় না। যারা যুদ্ধ চায়, তারা যুদ্ধে যায় না।’ ভারতের সমুদ্রের তীরে বালিতে ভাস্কর্যের মাধ্যমে জনৈক নারায়ণ কোহালি লিখেছেন যে, ‘শান্তি আসুক’।

আরও পড়ুন: ‘অভিনন্দনকে এখনই ফিরিয়ে দিন’, ইমরানকে বার্তা ভুট্টোর নাতনি ফতিমার

যুদ্ধের ফলে সেনা জওয়ানদের পরিবার হারায় তাঁদের প্রিয়জনকে। এই শোকের কোনও দেশ বা সীমা হয় না। ভারত ও পাকিস্তান, দুই দেশেরই মৃত জওয়ানদের কফিনের উপর তাঁদের পরিবারের লুটিয়ে পড়া কান্নার ছবি পোস্ট করে সেই কথাই লিখেছেন কেউ কেউ।

আরও পড়ুন: জেনিভা সম্মেলনের শর্ত লঙ্ঘন, অভিযোগ পাকিস্তানের দিকে

ভারতীয় বায়ুসেনার পাইলট অভিনন্দনকে ফিরিয়ে দিতে বলে সোশ্যাল মিডিয়ায় দাবি তুলেছেন বহু পাক নাগরিক। যত দ্রুত সম্ভব এই ব্যাপারে পাক সরকারের সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত বলে লিখেছেন অনেকে।

কেউ কেউ আবার ভারত ও পাকিস্তান, এই দুই দেশেরই চরম আর্থিক দুর্দশার ছবি তুলে ধরে বলতে চেয়েছেন কী ভাবে যুদ্ধ আরও দুর্ভাগ্য নিয়ে আসতে পারে এই দুই দেশের জন্য। যুদ্ধ কখনওই এই দুই দেশের প্রাথমিক চাহিদা হতে পারে না বলে মত দিয়েছেন তাঁরা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE