Advertisement
১০ মে ২০২৪

মার্কিন ধাঁচেই মস্কোর সঙ্গে চুক্তি হবে দিল্লির

বিদেশ মন্ত্রক সূত্রের জানানো হয়েছে, পুরনো বন্ধুত্ব ঝালাই করে নেওয়ার পাশাপাশি এই সফরে প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে একগুচ্ছ চুক্তিও হতে চলেছে।

এই প্রথম দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বসতে চলেছেন নরেন্দ্র মোদী এবং ভ্লাদিমির পুতিন।—ফাইল চিত্র।

এই প্রথম দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বসতে চলেছেন নরেন্দ্র মোদী এবং ভ্লাদিমির পুতিন।—ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা 
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০১ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০৩:৪৩
Share: Save:

জম্মু- কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহার করে নেওয়ার পরে এই প্রথম দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বসতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।

আগামী ৪ এবং ৫ সেপ্টেম্বর ভ্লাদিভস্তকে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে ‘ইস্টার্ন ইকনমিক ফোরাম’-এর বৈঠক। সেখানে আমন্ত্রিত প্রতিনিধি হিসেবে মোদী উপস্থিত থাকবেন। পাশাপাশি পুতিনের সঙ্গে বার্ষিক সম্মেলনটিও সারবেন।

বিদেশ মন্ত্রক সূত্রের জানানো হয়েছে, পুরনো বন্ধুত্ব ঝালাই করে নেওয়ার পাশাপাশি এই সফরে প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে একগুচ্ছ চুক্তিও হতে চলেছে। দু’দেশের নৌ, বিমান ও স্থলসেনা যাতে পারস্পরিক সামরিক সুবিধেগুলি ব্যবহার করতে পারে তা নিয়ে আলোচনা ও চুক্তি হতে পারে বলে জানা গিয়েছে। ২০১৬ সালে আমেরিকার সঙ্গেও এই ধাঁচের চুক্তি হয়েছিল।

বিদেশ মন্ত্রক সূত্রের খবর, রাশিয়া চাইছে চিন-নির্ভরতা থেকে ইউরেশিয়াকে বার করে এনে এই অঞ্চলে ক্ষমতার ভারসাম্য আনতে। মার্কিন-বিরোধিতাকে কেন্দ্র করে কিছু ক্ষেত্রে মস্কোর সঙ্গে বেজিং-এর সমন্বয় দেখা যাচ্ছে ঠিকই কিন্তু দু’দেশের মধ্যেও বিরোধিতার জায়গাটিও বাড়ছে বলেই মনে করা হচ্ছে। যার অনেকটাই বাণিজ্যিক। সে ক্ষেত্রে নয়াদিল্লি রাশিয়ার সঙ্গে পুরনো জোট পোক্ত করতে পারলে আঞ্চলিক ভূকৌশলগত রাজনীতিতে লাভ হবে ভারতের।

২০১৫ সাল থেকে রাশিয়া পাকিস্তানের দিকে ঝুঁকে পড়ায় কিছুটা হতাশ হয়েছিল সাউথ ব্লক। ভারতের অনুরোধ সত্ত্বেও রাশিয়া পাকিস্তানের সঙ্গে সামরিক মহড়া করে। আবার উল্টো দিকে সামরিক সহযোগিতার প্রশ্নে ভারতের ক্রমবর্ধমান মার্কিন নির্ভরতাকেও ভাল চোখে দেখেননি পুতিন। তাই সব মিলিয়ে মোদীর এই সফরে সাম্প্রতিক অতীতের মনকষাকষিকে দূরে সরিয়ে রেখে নতুন করে সমঝোতা বাড়ানোটাই আপাতত লক্ষ্য নয়াদিল্লির।

সম্প্রতি রাষ্ট্রপুঞ্জে নিরাপত্তা পরিষদের রুদ্ধদ্বার বৈঠককে কেন্দ্র করেও রাশিয়ার সঙ্গে ভারতের সামান্য হলেও ভুল বোঝাবুঝির জায়গা তৈরি হয়েছে। এই বৈঠকে কাশ্মীর সংক্রান্ত ভারতীয় অবস্থান থেকে সামান্য সরে গিয়ে রাশিয়ার প্রতিনিধি বলেছিলেন, ‘‘এই সমস্যার সমাধান করা উচিত রাষ্ট্রপুঞ্জের সনদ এবং প্রস্তাব মেনে।’’ পরে অবশ্য কিছুটা বক্তব্য বদলে সে দেশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, কাশ্মীর সমস্যা ভারত এবং পাকিস্তানের দ্বিপাক্ষিক বিষয়। পুতিনের সঙ্গে বৈঠকে জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা লোপের বিষয়টি বিশদে জানাবেন মোদী।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE