Advertisement
১১ মে ২০২৪
Donald Trump

ট্রাম্পের ঘরে কী সেই ‘অর্জিত’ ধন

অন্তরে চমকে গেলেও সে বার মুখ ফুটে প্রেসিডেন্টকে ‘না’ বলতে পারেননি ফ্রান্সে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত জেমি ম্যাককোর্ট। অগত্যা প্যারিসে তাঁর প্রাসাদপোম আবাসন থেকে এয়ারফোর্স ওয়ানে ট্রাম্পের সফরসঙ্গী হয়েছিল থরে থরে শিল্পকর্ম।

নকল নাকি: ২০১৮-য় প্যারিস থেকে আনা শিল্পকর্ম সাজানো ওভাল অফিসে। ছবি: টুইটার

নকল নাকি: ২০১৮-য় প্যারিস থেকে আনা শিল্পকর্ম সাজানো ওভাল অফিসে। ছবি: টুইটার

সংবাদ সংস্থা
ওয়াশিংটন শেষ আপডেট: ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২০ ০৩:০৫
Share: Save:

দেখলেন, পছন্দ করলেন, আর তার পরের দিনই অর্ডার করে বসলেন। দরদামের বালাই নেই। বরং ‘আবদার’ করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প— ‘‘নিয়ে যাচ্ছি হোয়াইট হাউসে। ছ’বছর পরে, ২০২৪-এ সব ফেরত পাবেন।’’

অন্তরে চমকে গেলেও সে বার মুখ ফুটে প্রেসিডেন্টকে ‘না’ বলতে পারেননি ফ্রান্সে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত জেমি ম্যাককোর্ট। অগত্যা প্যারিসে তাঁর প্রাসাদপোম আবাসন থেকে এয়ারফোর্স ওয়ানে ট্রাম্পের সফরসঙ্গী হয়েছিল থরে থরে শিল্পকর্ম। মার্কিন বিজ্ঞান, প্রশাসন ও কূটনীতির প্রবাদপুরুষ বেঞ্জামিন ফ্রাঙ্কলিনের একটি আবক্ষ মূর্তি, তাঁর প্রমাণ মাপের তৈলচিত্রের সঙ্গে ট্রাম্পের বিমানে ঠাঁই পেয়েছিল গ্রিক পুরাণের বেশ কিছু দেব-দেবীর ক্ষুদ্র মূর্তি।

সে সবের বেশ কিছু আজও দিব্যি শোভা পাচ্ছে ওভাল অফিসে। কিন্তু এ সব শিল্পকর্মের সাগর-পেরোনোর ইতিবৃত্ত সম্প্রতি ফাঁস করে দিল আমেরিকারই একটি সংবাদ সংস্থা। যার জেরে ভোটের মুখে ফের বিপাকে ট্রাম্প। বিতর্ক আরও জোরালো, কারণ এই প্যারিস-সফরেই প্রথম বিশ্বযুদ্ধে নিহত মার্কিন নৌসেনা সদস্যদের ‘হেরো’ আখ্যা দিয়েছিলেন ট্রাম্প। ‘কী হবে ওখানে গিয়ে’ বলে যাননি তাঁদের সমাধিক্ষেত্র পরিদর্শনেও!

নৌসেনার প্রতি ট্রাম্পের অবমাননার এই বিষয়টি সম্প্রতি সামনে এনেছিলেন একটি মার্কিন পত্রিকার প্রধান সম্পাদক। প্যারিসে তাঁর ‘দ্বিতীয় অধ্যায়’ ছাপাল অন্য একটি সংবাদমাধ্যম। তাদের দাবি, সমাধিক্ষেত্রে না-গিয়ে ওই ‘ফাঁকা’ ছ’ঘণ্টা তিনি কাটিয়েছিলেন রাষ্ট্রদূতের সরকারি বাসভবনে। সেখান থেকেই ‘সম্পত্তি অর্জন’। হোয়াইট হাউসও স্বীকার করে নিয়েছে ওই শিল্পকর্মের কথা। এক মুখপাত্রের কথায়, ‘‘পিপল্স হাউসে খুব ভাল ভাবে সাজিয়ে রাখার জন্যই প্রেসিডেন্ট সে বার এ সব শিল্পকর্ম ফ্রান্স থেকে নিয়ে এসেছিলেন।’’
তবু একটা ‘কিন্তু’ থাকছেই। ওভাল অফিসের ফায়ার প্লেসের উপরে যে গ্রিক পৌরাণিক মূর্তিগুলি শোভা পাচ্ছে, জানা গিয়েছে— সে সব আদতে জাল। লন্ডনের এক শিল্প-ব্যবসায়ীর দাবি, এগুলি বিশ শতকের। যাকে শিল্পী দীর্ঘদিন ৪০০ বছর আগেকার বলে চালানোর চেষ্টা করছিলেন! জানা গিয়েছে, ফ্রাঙ্কলিনের ছবিটিও বিশুদ্ধ কপি! আপাতত নকল সরিয়ে, ন্যাশনাল পোর্ট্রেট গ্যালারি থেকে আসলটি লাগানো হয়েছে ওভাল অফিসে। আর ফ্রাঙ্কলিনের ওই আবক্ষ মূর্তি? সেটিও রেপ্লিকা।

চব্বিশের পরে এ সব তা হলে যাবে কোথায়? ট্রাম্প কি আপন করে নেবেন— প্রশ্নটা উঠছেই।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Donald trump Air Force One Paris
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE