Advertisement
E-Paper

রাহুল-পূজারাকে এগারোতেই রাখতে হবে

নিউজিল্যান্ড সিরিজের জন্য ভারতীয় টেস্ট টিম নির্বাচনের চব্বিশ ঘণ্টা আগে প্রচুর ঘটনা ঘটতে দেখছি। চেতেশ্বর পূজারা ডাবল সেঞ্চুরি করে ফেলে টিমে মোটামুটি নিশ্চিত করে ফেলল। কোথাও কোথাও আবার বলাবলি চলছে, তা হলে কি রোহিত শর্মাকে বাদ পড়তে হবে? গৌতম গম্ভীর— তাকে নিয়েও অনেক কিছু ঘটছে।

অশোক মলহোত্র

শেষ আপডেট: ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০৪:১৬
‘গৌতম গম্ভীর ফেরাও’ দাবি উঠে গেল রবিবারের দলীপ ট্রফির ফাইনালে। কেকেআরের জার্সি পরে কয়েক জন কলেজ পড়ুয়া মাঠে চলে এলেন ব্যানার নিয়ে। ছবি টুইটার

‘গৌতম গম্ভীর ফেরাও’ দাবি উঠে গেল রবিবারের দলীপ ট্রফির ফাইনালে। কেকেআরের জার্সি পরে কয়েক জন কলেজ পড়ুয়া মাঠে চলে এলেন ব্যানার নিয়ে। ছবি টুইটার

নিউজিল্যান্ড সিরিজের জন্য ভারতীয় টেস্ট টিম নির্বাচনের চব্বিশ ঘণ্টা আগে প্রচুর ঘটনা ঘটতে দেখছি। চেতেশ্বর পূজারা ডাবল সেঞ্চুরি করে ফেলে টিমে মোটামুটি নিশ্চিত করে ফেলল। কোথাও কোথাও আবার বলাবলি চলছে, তা হলে কি রোহিত শর্মাকে বাদ পড়তে হবে? গৌতম গম্ভীর— তাকে নিয়েও অনেক কিছু ঘটছে। শুনলাম, দলীপ ট্রফি ফাইনালে একদল সমর্থক ব্যানার নিয়ে ‘ব্রিং ব্যাক গম্ভীর’ আওয়াজ তুলেছে।

গম্ভীরের প্রতি সম্মান রেখেই বলছি, ওকে আমি নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে টেস্ট টিমে দেখছি না। তার মানে এটা নয় যে, ও খারাপ খেলছে। আসলে আপনি বাদ দেবেন কাকে? একমাত্র শিখর ধবন। কিন্তু কেএল রাহুল আর মুরলী বিজয় যা খেলছে, তার পর ওদের প্রথম এগারো থেকে সরানো সম্ভব নাকি? গম্ভীরকে নিলেও তাই বসিয়ে রাখতে হয়। আর ওর মতো সিনিয়র ক্রিকেটারের সেটা প্রাপ্য নয়।

আমাকেও যদি নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে তিন টেস্টের দল নির্বাচন করতে বলা হত, রাহুল আর বিজয়কে ওপেনিং স্লটে রাখতাম। শিখর যথেষ্ট সুযোগ পেয়েছে। কিন্তু গত দশ-এগারোটা ম্যাচে কিছুই বলতে গেলে করতে পারেনি। শুধু একটা হাফসেঞ্চুরি বাদে। গড়ও খুব সাধারণ। সেখানে রাহুল দেখিয়ে দিয়েছে, ওকে সুযোগ দিলে, ওকে খেলালে টিমেরই লাভ। রাহুলের অ্যাপ্রোচটা আমার দারুণ লাগে। টি-টোয়েন্টি যখন খেলে, ওকে দেখে পুরোপুরি টি-টোয়েন্টি প্লেয়ার লাগে। আবার টেস্ট যখন খেলে, পুরো টেস্ট ক্রিকেটার। আর ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে যা খেলছে রাহুল, তার পর শিখরকে প্রথম এগারোয় রাখার কথা ভাবাই উচিত নয়। আমি হলে তিনটে টেস্টেই রাহুলকে খেলাতাম। তার পর ঠিক করতাম, ইংল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে কোন দু’জন ওপেনার হিসেবে চূড়ান্ত হবে।

তিন নম্বর জায়গাটা নিয়ে কোনও সন্দেহ থাকা উচিত নয়। পূজারা দলীপ ফাইনালে যা করল, তার পর নির্বাচকদের মনে হয় না ভাবার আর কোনও জায়গা থাকবে বলে। তা ছাড়া টিমে এত বেশি স্ট্রোক প্লেয়ার, তাদের মধ্যে পূজারার মতো এক জন প্লেয়ার থাকা ভাল যে কি না ধরে রাখতে পারবে। ওয়েস্ট ইন্ডিজে কিন্তু রাহুল এবং পূজারাকে কোনও না কোনও টেস্টে বসতে হয়েছিল। সেটা যেন এ বার না হয়।

চার নম্বরে বিরাট কোহালি। পাঁচে অজিঙ্ক রাহানে। ছ’নম্বরে ঋদ্ধিমান সাহা। সাতে রবিচন্দ্রন অশ্বিন। না, রোহিত শর্মাকে এগারোয় রাখতে পারছি না। রোহিত প্রতিভাবান, কিন্তু টেস্টে এমন কিছু করেনি যে রাহানের জায়গায় ওকে ভাবা যেতে পারে। একমাত্র যদি বিরাট পাঁচ বোলারের ভাবনা ছেড়ে সরে আসে, তা হলেই একমাত্র রোহিতকে ফার্স্ট ইলেভেনে দেখতে পাচ্ছি। যা হবে না বলেই আমার ধারণা। তবে রোহিত স্কোয়াডে থাকবে।

বোলিং— সেখানে বিশেষ কিছু বদলের জায়গা নেই। চার পেসার মহম্মদ শামি, ভুবনেশ্বর, ইশান্ত শর্মা এবং উমেশ যাদব। কিন্তু খেলানো উচিত দু’জনকে। শামি আর ভুবনেশ্বর। ইশান্ত আর উমেশ পনেরো জনে থাকতে পারে, কিন্তু ইদানীং ওদের যা পারফরম্যান্স চূড়ান্ত এগারোয় আসে না। আর টার্নিং ট্র্যাকে যদি খেলা হয়, দুই পেসারে সম্ভবত যাবে ভারত। সে ক্ষেত্রে ইশান্তের থাকার সম্ভাবনা আরওই কম। স্পিনিং বিভাগে কিছু অদলবদলের প্রয়োজন নেই। রবিচন্দ্রন অশ্বিন। অমিত মিশ্র। এবং রবীন্দ্র জাডেজা। টার্নারে খেলা হলে জাডেজা কিন্তু মারাত্মক হবে।

New Zealand final 11 K. L. Rahul Pujara
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy