মাত্র ১৪ সেকেন্ডে!
সারা দিন কাজের চাপ, প্রত্যাশা পূরণের চাপ, ঘাড়ের কাছে ডেডলাইনের দীর্ঘশ্বাস— সব মিলিয়ে সারা দিন মাথা ঠান্ডা রাখাটা সত্যিই বড় চ্যালেঞ্জ। অতিরিক্ত স্ট্রেসের কারণে না চাইলেও অনেক সময়ই মেজাজ হারিয়ে ফেলি আমরা। স্ট্রেস কাটাতে বা রাগ কমাতে চোখে মুখে ঠান্ডা জল ছেটানোর পদ্ধতি নিলেও তার চেয়েও সহজ উপায়ে কমিয়ে ফেলা যায় রাগ। মাত্র ১৪ সেকেন্ডে!
ব্রিটিশ সাইকোলজিক্যাল সোসাইটির এমা ইয়ঙ্গ এবং থ্রাইভ গ্লোবালের ড্রেক বেয়ারের রিপোর্ট অনুযায়ী, এই বিষয়ে একটি অত্যন্ত কার্যকর গবেষণা করেছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রুটগার্স বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক মারিসিও ডেলাগো এবং মেগান স্পিয়ার।
আরও পড়ুন: অনলাইন শপিং করেন? এই শর্টকাটগুলো জানেন তো
গবেষণার সময় ১৩৪ জন অংশগ্রহণকারীকে দুটো দলে ভাগ করা হয়। প্রথম দলকে বলা হয় বরফ ঠান্ডা জলে ১৪ সেকেন্ড শুধুমাত্র হাত ডুবিয়ে রাখতে। দ্বিতীয় দলকে বলা হয় ওই ১৪ সেকেন্ড জীবনের কোনও ভাল স্মৃতি ভাবতে। কোনও সাফল্যের ঘটনা বা আনন্দের মুহূর্ত মনে করতে। দেখা যায় প্রথম দলের যে পরিমাণ কর্টিসল বা স্ট্রেস হরমোন ক্ষরণ হয়েছে, দ্বিতীয় দলের তার মাত্র ১৫ শতাংশ কর্টিসল ক্ষরণ হয়েছে। বিষয়টা আরও ভাল করে বোঝার জন্য ডেলাগো ও স্পিয়ার নতুন অংশগ্রহণকারীদেরও একই প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে যেতে বলেন এবং ব্রেন অ্যাক্টিভিটির এফএমআরআই স্ক্যান করেন। যা মস্তিষ্কে রক্ত সঞ্চালনের মাত্রা বুঝতে সাহায্য করে। দেখা যায়, যে দল ভাল স্মৃতি ভেবেছে, তাদের ওই ১৪ সেকেন্ডের মধ্যে ব্রেনের প্রিফ্রন্টাল এলাকার কর্মক্ষমতা বেড়ে গিয়েছে। বিশেষজ্ঞদের দাবি, যে মুহূর্তে আমরা আনন্দ অনুভব করি আমাদের মস্তিষ্কের কর্টিকসট্রিয়াটাল অংশ সক্রিয় হয়ে ওঠে, ফলে স্ট্রেস হরমোন ক্ষরণ কম হয়।
আরও পড়ুন: ভারতে সর্বোচ্চ বেতনের চাকরি কোনগুলো জানেন
গবেষকদের আরও দাবি, মাত্র ১৪ সেকেন্ড ভাল স্মৃতি রোমন্থন করলেই এই পদ্ধতিতে স্ট্রেস কাটিয়ে ওঠা সম্ভব। আর এর জন্য কোনও ফিজেট স্পিনার বা স্ট্রেস বলের প্রয়োজন নেই।
হয়তো আপনার অনেক ভাল স্মৃতি রয়েছে। কিন্তু এখন আর ভাল স্মৃতি তৈরি করতে পারছেন না। তাই যখনই সময় পাবেন ঘুরতে বেরোন, বন্ধুদের সঙ্গে সময় কাটান, মানুষের সঙ্গে সংযোগ তৈরি করুন। ভাল স্মৃতির ভাণ্ডার যত পূর্ণ করবেন ততই মন খারাপ হলে সেগুলো মনে করতে পারবেন।
তাই স্ট্রেস মাথায় চেপে বসলেই ভাবতে থাকুন জীবনের প্রিয় কোনও স্মৃতি। আর মাত্র ১৪ সেকেন্ডে কাটিয়ে উঠুন স্ট্রেস।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy