উপকারিতার কথা ভেবে নয়, এই ফল লোক খান স্বাদের জন্য। নুন, লঙ্কা, কাসুন্দি মাখানো জামমাখার স্বাদ অনবদ্য। শুধু স্বাদ নয়, গুণের বহরও কম নয় ফলটির। ভিটামিন সি-তে ভরপুর, ক্যালশিয়াম, আয়রন, পটাশিয়াম সমৃদ্ধ জামের পুষ্টিগুণ অনেক। গ্রীষ্মের ফলটি নির্দ্বিধায় খেতে পারেন ডায়াবেটিকেরাও। ফলটি সাধারণত নুন, ঝাল দিয়ে তরিবত করে মেখে খেয়েই এসেছেন সকলে। তবে তা দিয়ে বানানো যায় আরও অনেক কিছুই।
কুলফি: এর জন্য প্রথমেই দুধ জ্বাল দিয়ে ঘন করে নিন। তার মধ্যে একটু কর্নফ্লাওয়ার গুলে দিন। ভাল করে নাড়তে থাকুন। ঘন হয়ে এলে যোগ করুন জামের শাঁস বাটা। দিয়ে দিন স্বাদমতো চিনি। সমস্ত উপকরণ মিশিয়ে কুলফির মতো জমিয়ে নিন।
জ্যাম: ছোটরা সাধারণত জ্যাম, জেলি জাতীয় খাবার ভালই বাসে। বাজারচলতি জ্যামে অতিরিক্ত চিনি, এমনকি প্রক্রিয়াজাত রাসায়নিক থাকে। তার বদলে টাটকা ফল দিয়ে ঘরেই জ্যাম বানাতে পারেন। জামের বীজ বার করে শাঁস মিক্সারে বেটে নিন। কড়াইয়ে মিশ্রণটি দিয়ে স্বাদমতো নুন এবং চিনি যোগ করে নাড়তে থাকুন। সেটি ঘন হয়ে এলে পাতিলেবুর রস দিয়ে হালকা নাড়িয়েচাড়িয়ে নামিয়ে নিন। পরিষ্কার কাচের পাত্রে সেটি সংরক্ষণ করে রাখতে পারেন অন্তত সপ্তাহখানেক। তবে ফ্রিজে রাখতে হবে সেটি।
রায়তা: শসা, পেঁয়াজ দিয়ে রায়তা খান। স্বাদ বদলে জামের রায়তা বানিয়ে নিন। জামের বীজ ছাড়িয়ে নিন। বাকি অংশ কুচিয়ে নিতে হবে। এবার ফেটানো টক দইয়ে স্বাদমতো নুন, জিরে গুঁড়ো দিয়ে জামের টুকরো মিশিয়ে দিন। তা হলেই তৈরি হয়ে যাবে রায়তা।