গরমে গলা ভেজাতে ডাবের ঠান্ডা, মিষ্টি জল যেন অমৃত। সোডিয়াম, পটাশিয়ামে ভরপুর ডাবের জল শরীরে ইলক্ট্রোলাইটের ভারসাম্য বজায় রাখতেও সাহায্য করে। চিরপরিচত ডাব আর তার শাঁস দিয়ে জনপ্রিয় রান্না ডাব চিংড়ি। স্বাদ বদলে আইসক্রিমেও যোগ হচ্ছে ডাবের শাঁস। ডাবের জল আর মিষ্টি শাঁস দিয়ে বানিয়ে ফেলতে পারেন পুডিংও। ফ্রিজে রেখে ঠান্ডা করা ডাবে শাঁসের পুডিংয়ের স্বাদ হবে মুখে লেগে থাকার মতোই।
উপকরণ:
২টি শাঁসযুক্ত ডাব
৪ টেবিল চামচ জিলেটিন পাউডার
স্বাদমতো চিনি
ডাবের মোটা শাঁস
২ কাপ ফ্যাটযুক্ত দুধ
পদ্ধতি: প্রথমেই ডাব কেটে জল ছেঁকে নিন। মোটা শাঁস লম্বা এবং সরু করে কেটে নিন। সম্ভব হলে ছুরি দিয়ে শাঁসটিতে ফুলের মতো নকশাও করতে পারেন। একটি বাটিতে জিলেটিন পাউডার আর সামান্য একটু ডাবের জলে গুলে রাখুন।
এ বার একটি পাত্রে ডাবের জল গরম হতে দিন। ডাবের জলের মিষ্টত্ব বুঝে যোগ করতে হবে চিনি। এর মধ্যে জলে গুলে রাখা জিলেটিন পাউডার দিয়ে ক্রমাগত নাড়তে থাকুন। সমস্ত উপকরণ মিশে গিয়ে ডাবের জল একটু ঘন হয়ে গেলে আঁচ বন্ধ করে ঠান্ডা হতে দিন।
একটি পাত্রে ডাবের শাঁসের কুচি দিয়ে ডাবের জলের মিশ্রণটি ঢেলে নিন। সেটি ঠান্ডা হলে ফ্রিজে ভরে দিন। ১-২ঘণ্টার মধ্যেই তা সুন্দর জমাট বেঁধে যাবে। এই ভাবেও পুডিংটি খাওয়া যায়। দেখতেও খুব সুন্দর লাগে। জমাট বাঁধা পুডিংয়ের ভিতর থেকে উঁকি দেয় ডাবের সাদা শাঁস।

ডাবের জল, শাঁস এবং দুধ দিয়ে তৈরি পুডিং। ছবি: ইন্টারনেট।
তবে এই পর্যায়ে যোগ করা যায় ঘন দুধও। স্বাদও ভাল হয় তাতে। এ জন্য দুধ জ্বাল দিয়ে ঘন করে নিতে হবে। দুধ হালকা গরম থাকা অবস্থায় ২ টেবিল চামচ জিলেটিন পাউডার মিশিয়ে ক্রমাগত নাড়তে হবে। যোগ করতে হবে স্বাদমতো চিনি। মিশ্রণটি একটু ঘন হয়ে গেলে আঁচ কমিয়ে বন্ধ করে দিতে হবে।
এ বার আগে তৈরি করা ডাবের পুডিংটি ছোট টুকরো করে কেটে একটি পাত্রে রাখুন। তার উপর যোগ করুন দুধ। গরম অবস্থাতেই দুধ ঢেলে দিতে হবে। কারণ, ঠান্ডা হলেই দুধ জমে থকথকে হয়ে যাবে। মিশ্রণটি ঘরের তাপমাত্রায় এলে ফ্রিজে ভরে দিন। এক থেকে দু’ঘণ্টা পরে বার করলেই তৈরি হয়ে যাবে ডাবের শাঁসের পুডিং।