ইমার্জেন্সি থেকে আউটডোর, সেখান থেকে ফের ইমার্জেন্সি। অবশেষে যখন শয্যা জুটল, তখন আর তার দরকার রইল না স্বপন মাইতির। ততক্ষণে মৃত্যু হয়েছে খানাকুলের ওই প্রৌঢ়ের (৫৫)। বুধবার এসএসকেএমের এই ঘটনায় ফের প্রশ্নে সরকারি হাসপাতালের পরিষেবা।
এই ঘটনার পরে স্বপনবাবুর আত্মীয়েরা বিক্ষোভ দেখান। তাঁদের অভিযোগ, গুরুতর অসুস্থ মানুষ চটজলদি চিকিৎসা না পেলে ইমার্জেন্সি বিভাগ আছে কেন? ২৪ ঘণ্টা আগে একই প্রশ্ন তুলেছিলেন ন্যাশনাল মেডিক্যালের পড়ুয়ারা। হাসপাতালেরই পঞ্চম বর্ষের এক পড়ুয়া দুর্ঘটনায় আহত হয়ে রবিবার সেখানে ভর্তি হন। অভিযোগ, সাত ঘণ্টা তাঁকে বিনা চিকিৎসায় ফেলে রাখা হয়। হাসপাতালের গাফিলতিতেই ওই তরুণের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ করে মঙ্গলবার বিক্ষোভে সামিল হন তাঁর সহপাঠীরা। পিজির ঘটনা একই বিষয়ের পুনরাবৃত্তি বলে মত অনেকেরই।
স্বপনবাবুর পরিজনেরা জানান, বুধবার বাড়ির ছাদ থেকে পড়ে তাঁর মাথায়-হাতে গুরুতর চোট লাগে। প্রথমে স্থানীয় হাসপাতাল ও পরে পিজিতে আনা হয় তাঁকে। আত্মীয়া সুজাতা মাইতির অভিযোগ, ইমার্জেন্সি থেকে তাঁদের প্রথমে নিউরো আউটডোর, তার পরে অর্থোপেডিক আউটডোর ও শেষে ফের ইমার্জেন্সিতে পাঠানো হয়। ততক্ষণে নেতিয়ে পড়েছেন স্বপনবাবু। বিকেলে বহু অনুরোধের পরে ইমার্জেন্সি অবজারভেশন ওয়ার্ডে তাঁর ঠাঁই হয়। এর কিছু পরেই মারা যান তিনি। সুজাতাদেবী বলেন, ‘‘হাসপাতালে আনার পরেই চিকিৎসা শুরু হলে হয়তো বাঁচানো যেত। মাথার চোট কত গভীর, ডাক্তারবাবুরা বুঝতেই পারেননি। হাত থেকে রক্ত ঝরছিল। ব্যান্ডেজ হয়নি। রাজ্যের সেরা হাসপাতালের এই হাল হলে আমরা কোথায় যাব?’’
হাসপাতাল কর্তারা জানান, প্রাথমিক ভাবে গাফিলতির অভিযোগ ঠিক নয়। কারণ, এক্স-রে, সিটি স্ক্যান, ক্ষতস্থানে ব্যান্ডেজ হয়েছিল। নিয়ম মেনে পরীক্ষার পরে শয্যায় পাঠানোর সময়ে ওই ঘটনা। তা-ও পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত কমিটি গড়া হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy