শীত হোক বা গ্রীষ্ম ব্রণ যখন তখন ত্বকে দেখা দিতে পারে। নানারকম কারণে। কখনও পেটের সমস্যা, কখনও হরমোনের সমস্যায় ত্বকে ব্যাক্টেরিয়ার আনাগোনা বাড়তে শুরু করে। যার ফলে একটি-দু’টি করে ব্রণ দেখা দিতে শুরু করে ত্বকে। মধু সেই ব্যাক্টেরিয়ার সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে সাহায্য করে। কারণ মধুতে রয়েছে প্রাকৃতিক অ্যান্টি ব্যাক্টেরিয়াল অর্থাৎ ব্যাক্টেরিয়া রোধক উপাদান। যা ব্রণের সমস্যাকে দূরে রাখতে সাহায্য করে। তার জন্য খুব বেশি ঝক্কির দরকার নেই। শুধু দরকার ভাল জাতের মধু। যা ত্বকের পরিচর্যার পাশাপাশি আরও নানা কাজে লাগেতে পারে।
১. মধু
মুখ ক্লিনজার দিয়ে ভাল করে ধুয়ে, মুছে নিন। আঙুলের সাহায্যে বা কটন বাডে মধু লাগিয়ে তা সরাসরি ব্রণের উপর লাগান। ৩০ মিনিট থেকে ১ ঘণ্টা অথবা সম্ভব হলে সারা রাত রেখে দিন। এরপর উষ্ণ জল দিয়ে আলতো করে ধুয়ে ফেলুন।উপকারিতা: এটি সরাসরি ব্রণের ব্যাকটেরিয়াকে মেরে ফেলে এবং ব্রণের চারপাশের প্রদাহ ও লালভাব দ্রুত কমিয়ে আনতে সাহায্য করে।
২. মধু এবং দারচিনি
দারচিনিরও শক্তিশালী অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল গুণ রয়েছে। মধুর সঙ্গে তা মিলিয়ে ব্রণের উপর লাগালে, ব্যাক্টেরিয়ার উপর কাজ হয় দ্রুত। ১ চা চামচ মধু এবং ১/৪ চা চামচ দারচিনি গুঁড়ো ভালোভাবে মিশিয়ে একটি ঘন পেস্ট তৈরি করুন। এই পেস্টটি ব্রণের উপর বা ব্রণ হয় এমন জায়গায় অথবা পুরো মুখেই মাস্কের মতো লাগান। ১০ থেকে ১৫ মিনিট রেখে দিন। ঠান্ডা জল দিয়ে আলতো করে ধুয়ে ফেলুন। সতর্কতা: দারচিনি সংবেদনশীল ত্বকে জ্বালা বা সামান্য লালভাব সৃষ্টি করতে পারে, তাই প্রথমে হাতের অল্প জায়গায় লাগিয়ে দেখে নিতে পারেন।
৩. মধু এবং হলুদ
হলুদের অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি এবং অ্যান্টিসেপটিক বৈশিষ্ট্য ব্রণের দাগ কমানো এবং প্রদাহ দূর করতে সহায়ক।
পদ্ধতি: ১ চা চামচ মধু এবং সামান্য (১/৪ চা চামচেরও কম) হলুদ গুঁড়ো বা কাঁচা হলুদ বাটা ভাল ভাবে মিশিয়ে নিন। মিশ্রণটি ব্রণের উপরে অথবা গোটা মুখে লাগান। ১৫ থেকে ২০ মিনিট রেখে ঠান্ডা জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
সতর্কতা : হলুদ সাময়িকভাবে ত্বককে কিছুটা হলুদ করতে পারে, তাই ত্বক ভালো করে ধুয়ে ফেলতে হবে।