গাজরে রয়েছে ভিটামিন এ, সি এবং অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টস। ত্বকের পরিচর্যার জন্য এই সমস্ত পুষ্টিগুণ খুবই জরুরি। ভিটামিন এ এবং সি ত্বককে উজ্জ্বল করতে, বার্ধক্যের লক্ষণ কমাতে এবং আর্দ্রতা বজায় রাখতে সাহায্য করে। অ্যান্টি অক্সিড্যান্টস ত্বককে দূষণ মুক্ত রাখতে সাহায্য করে। তাই গাজর দিয়ে ঘরোয়া রূপটান বানিয়ে ব্যবহার করতেই পারেন।
১. গাজর ও মধু
এই মাস্কটি শুষ্ক ত্বককে আর্দ্রতা যোগাতে এবং স্বাভাবিক উজ্জ্বলতা ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করে।
উপকরণ: সেদ্ধ বা কাঁচা গাজর বাটা ২ টেবিল চামচ, ভাল মধু ১ চা চামচ, দুধের সর বা দই ১ চা চামচ
পদ্ধতি: গাজর সেদ্ধ করে অথবা কাঁচা গাজর ভালো করে বেটে নিন। তার সঙ্গে মেশান মধু এবং দুধের সর বা দই। পরিষ্কার ত্বকে এই মাস্কটি ভালোভাবে লাগান।১৫-২০ মিনিট অপেক্ষা করুন এবং তারপর ঠান্ডা জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
২. গাজর ও বেসন
এই স্ক্রাবটি ত্বকের মৃত কোষ দূর করে, রক্ত সঞ্চালন বাড়ায় এবং ত্বককে উজ্জ্বল করে তোলে।
উপকরণ: গাজরের রস ২ টেবিল চামচ, বেসন ২ টেবিল চামচ, হলুদ গুঁড়ো ১/২ চা চামচ
পদ্ধতি: গাজরের রস, বেসন এবং হলুদ গুঁড়ো মিশিয়ে একটি ঘন পেস্ট তৈরি করুন। এই পেস্টটি সারা মুখে এবং গলায় লাগিয়ে নিন। প্রায় ১০ মিনিট শুকোতে দিন। পুরোপুরি শুকিয়ে গেলে, হালকা জল দিয়ে ভিজিয়ে বৃত্তাকারে ঘষে স্ক্রাব তুলে ফেলুন।
৩. গাজরের টোনার
গাজরের রস ত্বকের পিএইচ ভারসাম্য বজায় রাখতে এবং রৌদ্রক্লান্ত ত্বককে আরাম দেয়
উপকরণ: গাজরের রস ১/২ কাপ, সাধারণ জল বা গোলাপ জল ১/২ কাপ, ভিটামিন ই তেলের ক্যাপসুল ১টি।
পদ্ধতি: গাজরের রসের সঙ্গে গোলাপ জল মিশিয়ে নিন। মিশ্রণটিকে একটি স্প্রে বোতলে ভরে ফ্রিজে রাখুন। দিনে ২-৩ বার মুখ পরিষ্কার করার পর তুলোর প্যাডের সাহায্যে টোনার হিসেবে ব্যবহার করুন, অথবা ফেস মিস্টের মতো সরাসরি স্প্রে করুন।