খুঁত ঢাকতে অতিরিক্ত মেকআপ নয়, বরং বি-টাউনের নায়িকারা নিজস্ব সৌন্দর্যে বিশ্বাসী। রূপটান শিল্পীরাও বলেন, ত্বকের নিজস্ব কোমলতা, লাবণ্য বজায় থাকলে সেই সৌন্দর্য ফুটে ওঠে মেকআপের পরেও। প্রতি দিন ক্লিনজ়িং, টোনিং, ময়েশ্চারাইজ়িং জরুরি। কিন্তু এ ছাড়াও নিয়মিত রূপচর্চায় কাঠবাদাম তেলও রাখেন অভিনেত্রী জাহ্নবী কপূর। নায়িকার রূপটান শিল্পী বরদান নায়ক এক সময় জানিয়েছিলেন, অভিনেত্রী প্রতি দিন মুখে কাঠবাদামের তেল মাখেন। ভিটামিন এ, এবং ই-তে সমৃদ্ধ তেলটি ত্বকের জেল্লা বজায় রাখতে বিশেষ ভাবে কার্যকর। ইদানীং রূপচর্চায় কাঠবাদামের তেলের ব্যবহারও বাড়ছে।
কাঠবাদামের তেলের গুণ
ভিটামিন এ: ভিটামিন এ-তে থাকা রেটিনল নামক উপাদাটি বলিরেখা দূর করে ত্বকের জৌলুস বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
ভিটামিন ই: এতে রয়েছে ভিটামিন ই, অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট, যা ক্ষতিগ্রস্ত কোষগুলিকে পুনরুজ্জীবিত করতে সাহায্য করে, অতিবেগনি রশ্মির হাত থেকে ত্বককে রক্ষা করে।
ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড: ত্বকের ঔজ্জ্বল্য ধরে রাখতে, আর্দ্রতা বজায় রাখতে সাহায্য করে উপাদানটি।
জ়িঙ্ক: ব্রণ, ফুস্কুড়ির মতো সমস্যার সমাধানে সহায়ক এই খনিজটি।
নামী প্রসাধনী ব্র্যান্ডের কর্তারা বলছেন, ইদানীং রূপচর্চায় কাঠবাদামের তেলের কদর বাড়ছে। রূপচর্চা শিল্পীরাও বলছেন, ধারাবাহিক ভাবে ত্বকের যত্ন নিলে, খুব স্বল্প মেকআপেই নজরকাড়া হয়ে ওঠে যায়। ত্বক সুন্দর রাখার ক্ষমতা রয়েছে কাঠবাদাম তেলের।
আরও পড়ুন:
ত্বকের জন্য কেন উপকারী?
১. কাঠবাদামের তেলে রয়েছে প্রদাহনাশক উপাদান। ত্বকে জ্বালা, চুলকানি কমানোর পাশাপাশি চোখের নীচের বলিরেখা, ফোলা ভাব কমাতেও এই তেল সাহায্য করে।
২. মুখের কালচে ভাব, রোদে পোড়া দাগ দূর করে স্বাভাবিক ঔজ্জ্বল্য বজায় রাখতেও সাহায্য করে।
৩. এতে থাকা রেটিনয়েড বলিরেখা কমায়, ত্বক টানটান রাখে।
৪. ত্বকের খসখসে ভাব, ব্রণের ফলে হওয়া দাগ, ক্ষত মিলিয়ে দিতেও সাহায্য করে তেলটি।
৫. স্পর্শকাতর ত্বকের জন্যও তা ভাল।
কী ভাবে কাঠবাদামের তেল ব্যবহার করবেন?
১. মেকআপ তোলার জন্য কেউ ক্লিনজ়ার ব্যবহার করেন, কেউ তেল। কাঠবাদামের তেল মেকআপ রিমুভার হিসাবে ব্যবহার করা যায়। সামান্য একটু তেল নিয়ে মুখে হালকা হাতে লাগিয়ে মালিশ করুন মিনিটখানেক। তার পর তুলোর সাহায্যে আলতো চাপ দিলেই মেকআপ উঠে আসবে।
২. ময়েশ্চারাইজ়ার হিসাবেও ব্যবহার করা চলে। বিশেষত ত্বকের ধরন শুষ্ক হলে নিয়মিত তেল মালিশে মুখের জেল্লা বাড়বে। তবে ক্লিনজ়িং, টোনিং-এর পরেই তা মাখতে হবে।
৩. মুখের মাস্ক হিসাবে কাঠবাদামের তেল ব্যবহার করা যায়। অ্যালো ভেরা জেলের সঙ্গে মিশিয়ে তা মাখতে পারেন। আবার ওট্স কাঁচা দুধে মিনিট দশেক ভিজিয়ে তাতে আধ চা-চামচ কাঠবাদামের তেল মিশিয়েও মাস্ক বানানো যায়। ত্বক নরম, সুন্দর রাখতে মাসে দুই থেকে তিন দিন এটি ব্যবহার করতে পারেন।