মুখ একেবারেই পরিষ্কার ছিল। কিন্তু দু’তিন দিন বিয়েবাড়িতে মেকআপ করার পর দেখলেন, মুখের বিভিন্ন জায়গায় ফুস্কুড়ির মতো হয়েছে। তার কোনওটির সাদা মুখও দেখা যাচ্ছে। সেই সঙ্গে ব্যথাও রয়েছে।
দেখে মনে হচ্ছে ব্রণ। তবে সত্যিই কি তা-ই? ত্বকের ধরন তৈলাক্ত হলে, হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হলে, পেটের সমস্যা থাকলে অনেকের ব্রণ হয়। তবে মুখে ফুস্কুড়ি, র্যাশও হয় মাঝেমধ্যে। তার কোনওটিকে এক ঝলকে ব্রণ মনে হলেও, তা কিন্তু ব্রণ না-ও হতে পারে।
সিবাসিয়াস হাইপারপ্ল্যাসিয়া: ত্বকের সেবাসিয়াস গ্রন্থি ফুলে গেলে এই ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। ত্বকের নীচে থাকে এই গ্রন্থি, যার কাজ হল তেল নিঃসরণ করে ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখা। সিবাসিয়াস হাইপারপ্ল্যাসিয়ায় ত্বক ফুঁড়ে ফুস্কুড়ির মতো কিছু দেখা যায়। দেখলে সেটিকে ব্রণ বলেই মনে হয়। কখনও তাতে সাদা মুখ তৈরি হয়।
ক্লগড পোরস: ত্বকে খুব সূক্ষ্ম রন্ধ্র থাকে। সেই রন্ধ্রমুখে তেল, ময়লা জমেও ফুস্কুড়ি হয়। এমনিতে এটি ক্ষতিকর নয়। তবে অপরিচ্ছন্ন হাত দিলে সংক্রমণ ঘটে, তা থেকে ব্রণের মতো প্রদাহ, ব্যথা হওয়া অসম্ভব নয়।
মিলিয়া: অনেক সময় মুখ জুড়ে গুড়িগুড়ি ফুস্কুড়ি হয়। কপালে, গালে এটি দেখা যায়। ত্বক অতিরিক্ত তৈলাক্ত হয়ে গেলে, মৃত কোষ জমতে থাকলে এমন সমস্যা দেখা দিতে পারে। নিয়মিত ক্লিনজ়িং, এক্সফোলিয়েশনে এই ধরনের সমস্যা দূরে রাখা সম্ভব।
ব্রণ হওয়ার যেমন বিভিন্ন কারণ হয়, তেমন ব্রণ ছাড়াও মুখে নানা রকম সমস্যা দেখা দিতে পারে। সপ্তাহ দুয়েকে তা সেরে না গেলে ত্বকের চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া দরকার।