ক্রিসমাসের সাজ বললে প্রথমেই মনে হয় কিছু একটা লাল রঙ পরতে হবে। এ ছাড়া কেউ কেউ ‘ক্রিসমাস ট্রি’-এর মতো পান্না সবুজ রং পরতেও ভালবাসেন বড় দিনে। দু’টিই উজ্জ্বল রং। দু’টিই শীতের একঘেয়েমি কাটানোর জন্য উপযুক্ত। কিন্তু এমনও অনেকে রয়েছেন যাঁরা খুব বেশি উজ্জ্বল রং পছন্দ করেন না। ফলে তাঁদের সংগ্রহে লাল বা সবুজ রঙের পোশাক নেই বললেই চলে। তাঁদের বড়দিনের সাজ তবে কেমন হবে? কী পরলে নিজের স্বাচ্ছন্দের বাইরেও যেতে হবে না আবার উৎসবের মেজাজও বোঝানো যাবে?
১. নীল, রুপালি, ধাতব বা মেটালিক রং
লাল-সবুজের পর ক্রিসমাসের সবচেয়ে জনপ্রিয় কোনও রং যদি থেকে থাকে তবে সেটি নীল। লাল রঙে আপত্তি থাকলেও অনেকেই নীল রঙে অস্বস্তি বোধ করেন না। উজ্জ্বল নীল রংও পরে নিতে পারেন। এ বছর বড় দিনে নীলের সঙ্গে রূপোলি বা কোনও মেটালিক রঙের রংমিলন্তি পরতে পারেন তাঁরা। রূপোলি রং থাকতে পারে পোশাকের নকশা হিসাবে অথবা ব্যাগ, ঘড়ি, গয়নার মতো অ্যাকসেসরিজ় হিসাবেও। হালকা নীলের সঙ্গে উজ্জ্বল সাদা রঙের বৈপরীত্যও ভাল লাগবে। তাতে শীতের আমেজ এবং আভিজাত্য উভয়ই স্পষ্ট ফুটে উঠবে।
২. ধাতব সোনালি রং এবং শ্যাম্পেনের রং
উৎসবের আমেজ মানেই একটু ঝলমলে ভাব। সোনালি বা শ্যাম্পেনের মতো রঙের পোশাক পরলে ভিড়ের মাঝে আলাদা করে চোখে পড়বে। তবে এই সোনালি খুব উজ্জ্বল হবে না। সোনা নয় বরং খানিক পিতলের মতো সেনালি আভা থাকবে এমন পোশাক বেছে নিতে পারেন।
৩. নানা ধরনের সাদা এবং ক্রিম
বড়দিন শীতকালীন উৎসব। আর শীতের রং হল সাদা। বরফের রং। যেকোনও অনুষ্ঠানেই ধবধবে সাদা পোশাকের কোনও বিকল্প নেই। তবে বড়দিনে তার সঙ্গে আপনি ক্রিম, বেইজ ইত্যাদি রঙের পোশাকও পরতে পারেন।
৪. ধূসর-চারকোল
ভাল ভাবে সাজতে পারলে ধূসর রংও হতে পারে উৎসবের রং। বড়দিনে যগি ধূসর রং বা চারকোল রঙের পোশাক পরেন তবে তাতে সামান্য গ্লিটার বা শিমার থাকলে ভাল। অথবা এমন কোনও রঙের সঙ্গে এটি পরুন, যা ধূসরকেও নজর কাড়া করে তোলে। হলুদ, মেরুন, নীল, কালোর মতো রঙের সঙ্গে মিক্স অ্যান্ড ম্যাচ করতে পারেন।
৫. বেরি শেডস এবং বারগান্ডি
লাল না ভাল লাগলে লালের কাছাকাছি রং পরতে পারেন। সে ক্ষেত্রে মেরুন। বার্গান্ডি বা বেরির রঙের জামা, শোয়েটার, জ্যাকেট বেছে নিন। ভেলভেটের কাপড়ে এই রং আরও বেশি উজ্জ্বল দেখায়। তাই বড় দিনের রাতের অনুষ্ঠানের জন্য ভেলভেটের স্কার্ট, জ্যাকেট টপও বেছে নিতে পারেন।