ত্বকের যত্ন ঠিকমতো না নিলে ব্রণ হতে পারে, তা সকলেরই জানা। তবে ভুলভাল খাওয়ার অভ্যাসও কিন্তু ব্রণর জন্য দায়ী হতে পারে। প্রতি দিন এমন কিছু খাবার খাওয়া হয়, যা অজান্তেই ত্বকের সমস্যার কারণ হয়ে ওঠে। আপাতদৃষ্টিতে মনে হবে সেগুলি পুষ্টিকর খাবার, তবে তাতে ত্বকের সমস্যা দেখা দিতে পারে। যদি দেখেন, নাকের দু'পাশে, গালে ও থুতনিতে সারা বছরই র্যাশ বা ফুস্কুড়ির সমস্যা হচ্ছে, তা হলে সতর্ক হতে হবে। বুঝতে হবে, কেবল তৈলাক্ত ত্বকের জন্য এমন ব্রণ হচ্ছে না, এর কারণ আপনার খাদ্যাভ্যাসও হতে পারে।
কোন কোন খাবার ব্রণর সমস্যা বৃদ্ধি করে?
ড্রাই ফ্রুটস
স্বাস্থ্যকর বলে দেদার ড্রাই ফ্রুটস খাচ্ছেন? এই অভ্যাস স্বাস্থ্যকর না-ও হতে পারে। মাপ বুঝে খাওয়া দরকার। ড্রাই ফ্রুট্স খেতে ভাল বলে, সামনে রাখা থাকলে অনেকটাই খাওয়া হয়ে যায়। কিন্তু এতে যেমন হজমের সমস্যা হতে পারে তেমনই বাড়তে পারে ওজন। যাঁরা ডায়েটে রয়েছেন তাঁদেরও রকমারি বাদাম খেতে বলা হয়। কিন্তু তার মাপ আছে। পুষ্টিবিদেরা বলছেন, একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ দিনে ২৮ গ্রাম ড্রাই ফ্রুট্স খেতে পারেন। তার চেয়ে বেশি খেলে ওজন বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিতে পারে।
দুধ
দুধ মানেই সুষম খাবার। দুধ খেয়ে ব্রণ হচ্ছে, এমন ভাবতেই পারেন না বেশির ভাগই। দুধ খাওয়ারও কিন্তু মাপ আছে। দিনে এক গ্লাস বা দু’গ্লাস স্বাস্থ্যকর। কিন্তু যদি চার থেকে পাঁচ গ্লাস করে কেউ দুধ বা অতিরিক্ত দুগ্ধজাত খাবার খেতে থাকেন, তা হলে ত্বকের সমস্যা হতে পারে। দুধ বা দুগ্ধজাত খাবারে এমন কিছু উপাদান থাকে, যা ইনসুলিনের মাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে। যদি পনির, দই, আইসক্রিম বেশি করে খেতে থাকেন, তা হলেও সমস্যা হবে।
আরও পড়ুন:
চকোলেট
মিল্ক চকোলেট খেলেও ত্বকের সমস্যা হতে পারে। চকোলেট সরাসরি ব্রণর কারণ নয়। তবে, অতিরিক্ত চিনি, ক্যাফিন থাকায় তা ব্রণর সমস্যা বাড়াতে পারে। ডার্ক চকলেট (কম চিনিযুক্ত) তুলনামূলক ভাবে কম ক্ষতিকারক।
জাঙ্ক ফুড
পিৎজ়া, বার্গার, সসেজ, সালামির মতো খাবারে অতিরিক্ত ট্রান্স ফ্যাট থাকে। তা ছাড়া প্রক্রিয়াজাত খাবার বা বেশি তৈলাক্ত খাবার খেতে থাকলে রক্তে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়বে। প্রদাহ শুরু হবে অন্ত্রে। এর ছাপ পড়বে ত্বকেও।
প্যাকেটজাত পানীয়
বোতলবন্দি ফলের রস বা নরম পানীয়ে প্রচুর পরিমাণে শর্করা থাকে। এই পানীয় দিনের পর দিন খেতে থাকলে রক্তে শর্করার মাত্রা যেমন বাড়বে, তেমনই শরীরে প্রদাহও বাড়বে। এতে ত্বকের তৈলগ্রন্থির ক্ষরণ বাড়বে। ফলে ব্রণ, ফুস্কুড়ির সমস্যা দেখা দেবে।