ভারতীয় হেঁশেলে অধিকাংশ ক্ষেত্রে মাখনের থেকেও বেশি ব্যবহৃত হয় ঘি। স্বাস্থ্যকর ফ্যাট, ভিটামিন এ, ই ও কে, এবং অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টে ভরপুর ঘি বা ক্ল্যারিফায়েড মাখন। ফলত, রোজ ঘি খেলে একাধিক রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায় বলে দাবি করেন পুষ্টিবিদেরা। তা ছাড়া একাধিক চর্মরোগ চিকিৎসক ঘি-কে ত্বকচর্চার কার্যকরী সামগ্রী হিসেবেও সিলমোহর দিয়েছেন। ঘি-কে ত্বকচর্চার রুটিনে যুক্ত করে সুফল পেয়েছেন একাধিক বলিউড তারকা। কিন্তু জানেন কি, চুলের জন্যও ঘি উপকারী? কী কী ভাবে চুলের যত্নের রুটিনে ঘি যোগ করা যায়, তাও জেনে নিন।
চুলের যত্নে ঘিয়ের উপকারিতা ও প্রয়োগের পাঁচ উপায়-
ময়েশ্চারাইজ় করে: মাথার ত্বক রুক্ষ বা শুষ্ক হয়ে গেলে ঘিয়ের ময়েশ্চারাইজ়িং বৈশিষ্ট্য কাজে লাগে। মাথার ত্বকে আর্দ্রতা ধরে রাখার ক্ষমতা রয়েছে ঘিয়ের। তাই কয়েক ফোঁটা ঘিয়ের সঙ্গে লেবুর রস এবং আমন্ড অয়েল মিশিয়ে মাথার ত্বকে মেখে রেখে দিন ৩০ মিনিট। তার পর মাথা ধুয়ে ফেলুন মৃদু শ্যাম্পু দিয়ে।
চুলের গোড়া এবং আগায় ঘি মেখে রাখলে প্রয়োজনীয় পুষ্টি মেলে। ছবি: সংগৃহীত।
খুশকি রোধ করে: শুষ্ক ত্বকে চাপ চাপ খুশকির জ্বালায় বিরক্ত? উপকার মিলতে পারে ঘিয়ের ব্যবহারে। যতটুকু পরিমাণ ঘি নেবেন, ততটুকুই আমন্ড অয়েল নিতে হবে। মাথার ধুয়ে ফেলার আগে আধ ঘণ্টা মিশ্রণটি মাথার ত্বকে মেখে রাখতে হবে।
স্প্লিট-এন্ডস দূর করে: শুষ্কতা এবং পুষ্টির অভাবে চুলের নীচে আগার কাছে চুল ভেঙে দু’ভাগ হয়ে যায়। একেই বলা হয় স্প্লিট-এন্ডস। চুলের আগায় ঘি মেখে রেখে দিলে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যেতে পারে।
রেশমের মতো চুল মেলে: চুলের গোড়া এবং আগায় ঘি মেখে রাখলে প্রয়োজনীয় পুষ্টি মেলে। ফলে সামগ্রিক ভাবেই চুলের স্বাস্থ্য ভাল হয়। রেশমের মতো নরম ও কোমল হয়ে যায় চুল। হালকা গরম করে নিয়ে সেই ঘি মেখে রাখলে উপকার মিলতে পারে।
চুলের ঔজ্জ্বল্য ফেরায়: সূর্যের ক্ষতিকারক রশ্মি অথবা পরিবেশ দূষণের প্রভাবে চুল তার ঔজ্জ্বল্য হারিয়ে ফেলে দ্রুত। চুলের তারুণ্য ফিরিয়ে আনতে নারকেল তেলের মধ্যে ঘি মিশিয়ে মাথায় মেখে রাখলে লাভ হতে পারে। ঘণ্টাখানেক রেখে দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন।