মধু দিয়ে অনেকেই রূপচর্চা করে থাকেন। কেউ দইয়ের সঙ্গে মধু মিশিয়ে মাখেন। কেউ অন্য কিছুর সঙ্গে মধু মেশান। কেউ স্নানের আগে মাখেন, কেউ রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে। মধু ভিটামিন সমৃদ্ধ। মধুর অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল গুণ আছে, তা ছাড়া মধু প্রদাহনাশক। তাই ত্বকের জন্য খুবই ভাল। মধুর সঙ্গে যদি সামান্য গ্লিসারিন মিশিয়ে নেওয়া যায়, তা হলে উপকার আরও বেশি হয়। যাঁরা নরম ও মসৃণ ত্বক চান, তাঁদের জন্য মধু ও গ্লিসারিন খুবই কার্যকরী হতে পারে। তবে ব্যবহারের নিয়ম জেনে রাখা ভাল।
মধু ও গ্লিসারিন দিয়ে কী ভাবে ফেসপ্যাক তৈরি করবেন?
গোলাপজলের সঙ্গে মিশিয়ে
এক চামচ মধুর সঙ্গে এক চামচ গ্লিসারিন মিশিয়ে প্যাক বানিয়ে নিন। মধু লাগালে অনেক সময়ে চটচট করে। সে কারণে এই মিশ্রণে এক চামচ গোলাপজল মিশিয়ে নিতে পারেন। এই প্যাক লাগালে ত্বক তৈলাক্ত হবে না, আবার দাগছোপও উঠে যাবে। যাঁরা কাচের মতো স্বচ্ছ ত্বক চান, তাঁদের জন্য এই ফেসপ্যাক খুবই ভাল। রাতে শোয়ার আগে এই প্যাক ব্যবহার করুন। মিনিট ১৫ রেখে ঈষদুষ্ণ জলে ধুয়ে নিতে হবে।
রুক্ষ ত্বকের জন্য অ্যালো ভেরা
ত্বক খুব শুষ্ক হলে এবং তাতে র্যাশের সমস্যা থাকলে মধু, গ্লিসারিনের সঙ্গে অ্যালো ভেরা জেল মিশিয়ে নিতে হবে। স্নানের আগে এই প্যাক মেখে নিন। ২০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে তিন দিন ব্যবহার করলে ত্বক নরম ও জেল্লাদার হবে। ব্রণ-র্যাশের সমস্যা দূর হবে।
দাগছোপ তোলার জন্য
১ চামচ মধু, ১ চামচ গ্লিসারিন এবং কয়েক ফোঁটা লেবুর রস মিশিয়ে ফেসপ্যাক তৈরি করুন। স্নানের আগে বা বাইরে থেকে ফিরে এসে এই প্যাক ব্যবহার করলে দাগছোপ উঠে যাবে। তবে ত্বক খুব শুষ্ক হলে এটি ব্যবহার করবেন না।
উন্মুক্ত রন্ধ্রের জন্য
মেকআপ দিয়ে ত্বকের উন্মুক্ত রন্ধ্রগুলি ঢাকা সম্ভব নয়। ত্বকের পেশি ক্রমাগত সঙ্কুচিত, প্রসারিত হওয়ার ফলে ছিদ্রগুলি আকারে বড় হয়ে যায়। কপাল, নাক ও গালে এগুলি বড় হয়ে গর্তের মতো দেখতে লাগে। এতে মুখে বুড়োটে ছাপ পড়ে যায়। রন্ধ্রগুলিতে ধুলোময়লা, ঘাম জমে ব্রণ ও র্যাশের সমস্যাও বাড়ে। উন্মুক্ত রন্ধ্রের সমস্যা দূর করতে মধু, গ্লিসারিনের সঙ্গে এক চামচ বেসন মিশিয়ে নিন। বেসন ত্বকের মৃত কোষ দূর করে। সপ্তাহে তিন দিন ব্যবহার করলে উন্মুক্ত রন্ধ্রের সমস্যা দূর হবে।