প্রতি দিন লিপস্টিক লাগিয়ে তবেই বাড়ি থেকে বেরোন? গাঢ় রঙের লিপস্টিক ছাড়া মন ভরে না? তা সে গাঢ় হোক বা হালকা, রোজ যদি লিপস্টিক ব্যবহার করেন, তা হলে কিছু নিয়ম মানতেই হবে। না হলে ঠোঁটে কালচে দাগছোপ তো পড়বেই, লিপস্টিকের রাসায়নিক ঠোঁটের ত্বকেরও ক্ষতি করবে।
শীতের সময়ে রোজ লিপস্টিক পরলে ঠোঁট ফাটার সমস্যা বাড়তে পারে। তাই রোজ ঠোঁটের পরিচর্যা করতে হবে। এমন কিছু লিপস্টিক রয়েছে, যা ঠোঁটকে শুষ্ক করে তুলতে পারে। আবার যাঁদের শুষ্ক ত্বকের সমস্যা রয়েছে, তাঁদের ক্ষেত্রে এই সমস্যা গুরুতর হয়ে যেতে পারে। তাই শুষ্ক ঠোঁটের সমস্যা থাকলে, লিপস্টিক কেনার সময়ে দেখে নেবেন। যেহেতু ঠোঁটের চামড়া খুব পাতলা এবং নরম হয়, তাই ভাল মানের কোনও লিপস্টিক ব্যবহার করাই ভাল।
আরও পড়ুন:
লিপস্টিক কেনার সময় দেখে নিন তার মধ্যে কী কী উপাদান রয়েছে। কারণ লিপস্টিকের মধ্যে যদি এমন কোনও উপাদান থাকে যাতে আপনার অ্যালার্জি হতে পারে তাহলে সেটা এড়িয়ে চলাই ভাল। প্যারাবেনের মতো রাসায়নিকও থাকে লিপস্টিক ও লিপ বামে। প্যারাবেন শরীরে গেলে তা ইস্ট্রোজেন হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট করে দেয়। পরোক্ষে স্তনের ক্যানসারের ঝুঁকিও বাড়িয়ে দিতে পারে। তাই লিপস্টিক বা বাম কেনার আগে অবশ্যই লেবেল পরীক্ষা করে নিন। চেষ্টা করুন রাসায়নিকমুক্ত আয়ুর্বেদিক লিপস্টিক বা লিপ বাম ব্যবহার করতে।
লিপ মাস্ক ব্যবহার করতে পারেন। এটির কাজ হল ঠোঁটকে হাইড্রেট করা ও নরম-মসৃণ ভাব বজায় রাখা। ঘরোয়া পদ্ধতিতেও এটি বানানো যায়। মধু, নারকেল তেল, শিয়া বাটার দিয়ে মিশ্রণ বানিয়ে ঠোঁটে লাগিয়ে রাখুন। তার পর ধুয়ে লিপ বাম লাগিয়ে নিন।