কখনও ভ্যাপসা গরম, কখনও বৃষ্টি। এই সময়ে ত্বকে যেমন র্যাশ, চুলকানির সমস্যা হয়, তেমনই এই সময় পেট খারাপ, ডায়েরিয়া থেকেও ছাপ পড়ে ত্বকে। এগ্জিমা, কনট্যাক্ট ডার্মাটাইটিস, অ্যালার্জি এই সময়ের খুব সাধারণ সমস্যা। পুজো আসছে। এই সময়ে ত্বকে র্যাশ, ব্রণর সমস্যা থাকলে ঠিকমতো সাজগোজ করতে পারবেন না। তাই জেনে নিন র্যাশের হাত থেকে দূরে রাখতে কী করবেন।
ঘি-দুধের প্যাক
এগজ়িমার মতো চর্মরোগ বা ত্বকের র্যাশ-চুলকালি সারাতে নাা রকম ওষুধ আছে। তবে ঘরোয়া টোটকার মধ্যে ঘি সবচেয়ে ভাল উপায়। ভিটামিন এ, ডি এবং ই সমৃদ্ধ ঘি ত্বকের যে কোনও সংক্রমণ ঠেকাতে পারে। ত্বকের প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজ়ার হিসেবে কাজ করে ঘি, ত্বককে নরম ও মসৃণ রাখে। কাঁচা দুধ নিন দেড় কাপ। তাতে বেসন এবং এক চামচ ঘি দিয়ে পেস্ট বানিয়ে সারা শরীরে লাগিয়ে নিন। শুকিয়ে গেলে একটি গরম জলে ভেজানো তোয়ালে দিয়ে ঘষে ঘষে তুলে নিন। দেখবেন ত্বক অনেক পরিষ্কার হয়ে যাবে। জ্বালা, চুলকানি কমে যাবে।
বেকিং সোডা দিয়ে স্নান
এক বালতি ঠান্ডা জলে এক কাপ বেকিং সোডা মিশিয়ে রাখুন আধ ঘণ্টা। এই জলে স্নান করলে ত্বকের প্রদাহ কমবে।
নিমপাতা বাটা
র্যাশ বা চুলকানির সমস্যা থাকলে নিমের জল দারুণ ভাবে কাজ করে। ব্যবহার করা যায় নিমপাতা বাটা। নিমে রয়েছে অ্যান্টিসেপ্টিক এবং প্রদাহনাশক উপাদান। ফলে সংক্রমণ দূর করতে তা কার্যকর। নিমপাতা বাটা ত্বকে লাগালে জ্বালাভাব থেকেও আরাম মিলবে। নিমে অ্যান্টিব্যাক্টেরিয়াল উপাদান থাকায় ব্রণ কমাতেও ভেষজের ব্যবহার হয়। এতে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টও, যা ত্বক ভাল রাখতে সাহায্য করে।
চন্দনবাটা
চন্দনের গুণও কিছু কম নয়। এতে রয়েছে অ্যান্টিব্যাক্টেরিয়াল, অ্যান্টি ইনফ্ল্যামেটরি উপাদান। ত্বকের প্রদাহ কমাতে চন্দন সাহায্য করে। র্যাশ থেকে জ্বালা হলে বা স্থানটি চিড়বিড় করলে একটু সাদা চন্দনবাটা লাগিয়ে দিতে পারেন। এতেও আরাম মিলবে।