ঠোঁটের সঙ্গে গোলাপের পাপড়ির তুলনা করেছেন কবিরা। কিন্তু আয়নায় নিজের ঠোঁটের দিকে তাকালে কি তেমন মনে হয়। গোলাপের পাপড়ি তো দূর অস্ত্, ঠোঁটের যে স্বাভাবিক লালচে ভাব, সেটিই উধাও হয়ে যায় নানা কারণে।
হরমোনের সমস্যা, অতিরিক্ত লিপস্টিকের ব্যবহার, যথাযথ ভাবে ঠোঁট ময়েশ্চারাইজ় করার মতো কারণ তো রয়েছেই। এর পাশাপাশি, যেসব মহিলারা ধূমপান করেন, তাঁদের ঠোঁটেও কালচে ছাপ পড়তে পারে। ঠোঁটের কালচে ভাব দূর করে স্বাভাবিক গোলাপি আভা ফিরিয়ে আনতে হলে কয়েকটি ঘরোয়া উপায় মেনে দেখতে পারেন।
১. চিনি এবং মধুর স্ক্রাব:
চিনি ঠোঁটের মরা চামড়া দূর করার জন্য একটি চমৎকার প্রাকৃতিক স্ক্রাবার। মধু ঠোঁটকে আর্দ্র রাখতে এবং কালচে ভাব কমাতে সাহায্য করে।
পদ্ধতি: এক চামচ চিনি এবং এক চামচ মধু একসাথে মিশিয়ে একটি পেস্ট তৈরি করুন। এই মিশ্রণটি আঙুলের ডগায় নিয়ে ঠোঁটে আলতো করে বৃত্তাকার গতিতে ১-২ মিনিট ধরে ঘষুন।এরপর হালকা গরম জল দিয়ে ঠোঁট ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে অন্তত দু'বার এটি করলে ঠোঁট নরম ও উজ্জ্বল হবে।
২. লেবুর রস এবং মধু:
লেবুর রস একটি প্রাকৃতিক ব্লিচিং এজেন্ট যা ঠোঁটের পিগমেন্টেশন কমাতে সাহায্য করে। মধু ঠোঁটকে ময়েশ্চারাইজ করে।
পদ্ধতি: কয়েক ফোঁটা লেবুর রসের সাথে সামান্য মধু মিশিয়ে নিন। রাতে ঘুমানোর আগে এই মিশ্রণটি ঠোঁটে লাগান এবং সারা রাত রেখে দিন। সকালে হালকা গরম জল দিয়ে ঠোঁট ধুয়ে ফেলুন। নিয়মিত ব্যবহারে ঠোঁটের কালচে ভাব ধীরে ধীরে কমে যাবে।
৩. বিটের রস:
বিটে প্রাকৃতিক লাল রং থাকে যা ঠোঁটে গোলাপি আভা ফিরিয়ে আনতে খুব কার্যকর।
পদ্ধতি: একটি বিট কুরে নিয়ে তার রস বের করে নিন। রাতে ঘুমানোর আগে তুলার বল বা আঙুলের সাহায্যে এই রস ঠোঁটে লাগান। এটি ঠোঁটে লাগিয়ে রাখুন যতক্ষণ না এটি শুকিয়ে যায়, তারপর ধুয়ে ফেলুন অথবা সারারাত রেখে দিন। নিয়মিত এটি ব্যবহার করলে ঠোঁটের রঙে পরিবর্তন লক্ষ্য করা যাবে।