বাবা-মা এবং আর পাঁচ জনকে দেখেই শেখে খুদে। বড়রা সাজলে, তার মধ্যেও সাজগোজের ইচ্ছা জাগে। কখনও তাকে দেখা যায়, মায়ের লিপস্টিক নিয়েই সকলের অগোচরে ঠোঁট-মুখ রাঙিয়ে ফেলতে। কখনও আবার মায়ের মতো রুজ়, ব্লাশের ছোঁয়াও চায় খুদে।
তবে চিকিৎসকেরা বার বার বলেন, শিশুর কোমল ত্বক যত্নে রাখা দরকার। তা ছাড়া, নানা রকম প্রসাধনীতে এমন অনেক রাসায়নিক থাকতে পারে, যা শিশুর ত্বকের পক্ষে ক্ষতিকর। সে ক্ষেত্রে প্রাকৃতিক জিনিস দিয়েই বানিয়ে দিতে পারেন গালের জন্য ব্লাশ এবং ঠোঁটের হালকা গোলাপি বাম।
বিট দিয়ে কী ভাবে বানাবেন ব্লাশ থেকে ঠোঁটের বাম
বিট ধুয়ে খোসা ছাড়িয়ে ছোট ছোট টুকরো করুন। টুকরোগুলোকে ব্লেন্ডার বা মিক্সারে খুব সামান্য জল (এক/দুই চামচ) দিয়ে ঘুরিয়ে নিন। মিশ্রণটি মসলিন কাপড়ের উপর রেখে চেপে চেপে রস বের করে নিন। এই রসটি গালে আভা আনবে।
বিটরুটের রস একটি ছোট পাত্রে ঢেলে কম আঁচে জ্বাল দিন। রসটি ঘন হয়ে সিরাপের মতো হলে ঠান্ডা করে নিন। একটি শুকনো পাত্রে ১ চামচ ময়দা নিন। ঘন করা বিটের রস মেশান। তার পরে শুকোতে দিন। মিশ্রণটি শুকিয়ে গেলে ভাল করে গুঁড়িয়ে কৌটোয় ভরে রাখুন। শীতের দিনে ব্যবহার করতে হলে মিশিয়ে নিন কয়েক ফোঁটা অলিভ অয়েল বা কাঠবাদামের তেল। জিনিসটি হালকা ক্রিমের মতো হবে।
এটি দিয়ে গালে ব্লাশের ছোঁয়া আনা যাবে। তেল ব্যবহার করলে এটি ক্রিম ব্লাশের মতো হবে। আবার খুদের ব্যবহারের ক্রিমের মধ্যেও এটি স্বল্প মাত্রায় মিশিয়ে ব্যবহার করতে পারেন।
ঠোঁটের বাম তৈরি করবেন কী ভাবে
একটি ছোট পাত্রে সামান্য পেট্রোলিয়াম জেলি বা নারকেল তেল নিন। তার মধ্যে ঘন করা বিটরুটের রস যোগ করুন। ভাল করে মেশালেই ঠোঁটের বাম তৈরি হবে। পরিষ্কার কাচের শিশিতে তা সংরক্ষণ করে ফ্রিজে রেখে দিন।
প্রাকৃতিক উপাদানে ত্বকে ক্ষতির ভয় না থাকলেও, কোনও উপকরণে কারও অ্যালার্জি থাকতে পারে। বিশেষত শিশুদের ত্বকে ব্যবহারের আগে প্যাচ টেস্ট জরুরি। খুব অল্প তার গালে লাগিয়ে ঘণ্টা খানেক দেখুন। ত্বকে কোনও সমস্যা না হলে সেটি ব্যবহার করুন।
চিকিৎসকেরা সাবধান করছেন, শিশুদের সাজালে-গোজালেও অনুষ্ঠান শেষে মুখ ভাল করে পরিষ্কার করা জরুরি।