কানের পাশের চুলগুলির নাছোড়বান্দা স্বভাবে অস্বস্তি আর কমে না। ক্লিপেও আটকায় না সেগুলি, এ দিকে খোলা রাখলেও ঝক্কি পোহাতে হয়। ছোট চুলগুলি বাঁচাতে গিয়ে কেশসজ্জাও মাটি হয়ে যায়। বার বার কানের পাশে আটকানোর চেষ্টা করতে হয় হাত দিয়ে। বাইরের লোকের চোখে স্পষ্ট ধরা পড়ে অস্বস্তি। তাই বিশেষ দিনের সাজগোজে ছোট ছোট চুলগুলির ডানা ছেঁটে দেওয়া দরকার। অর্থাৎ, কেশসজ্জায় নতুন কৌশল প্রয়োজন।
১। সঠিক যন্ত্র- চিরুনি দিয়ে বাগে আনা মুশকিল? সে ক্ষেত্রে টুথব্রাশ, মাস্কারার ব্রাশ, ইত্যাদি দিয়ে চুল গুছিয়ে নেওয়া যায়।
২। হেয়ারস্প্রে- টুথব্রাশে অল্প হেয়ারস্প্রে নিয়ে নিন। এ বার অবাধ্য চুলগুলিতে বুলিয়ে বুলিয়ে পছন্দ মতো জায়গায় আটকে রাখুন। এতে কেশসজ্জায় অন্য মাত্রা যোগ হবে, চুলের খোঁচাও লাগবে না চোখ-মুখে। তবে দোকানে কেনা হেয়ারস্প্রেতে রাসায়নিক পদার্থ থাকে বলে, তা চুলের জন্য ভাল নয় সব সময়ে।

জল ছিটিয়ে ছোট চুলগুলি আঁচড়ে কানের পিছনে নিয়ে আসা যায়। অথবা কপালের সামনেই আটকে রাখা যায়। ছবি: সংগৃহীত।
৩। জল- কেশসজ্জার সময়ে দোকানে কেনা হেয়ারস্প্রের বদলে জল ব্যবহার করলে রাসায়নিক পদার্থের হাত থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। জল ছিটিয়ে ছোট চুলগুলি আঁচড়ে কানের পিছনে নিয়ে আসা যায়। অথবা কপালের সামনেই আটকে রাখা যায়। কিন্তু শুকিয়ে গেলে আবারও এদিক-ওদিক চলে যাবে চুলগুলি। তাই বার বার জল ছেটাতে হতে পারে।
৪। তেল- ছোট ছোট চুলগুলি অনেক সময়ে অপুষ্টিতে ভোগে। গোড়ায় তেল ঠিক মতো পড়ে না। তেল মাখার সময়ে বিশেষ নজর দিতে হবে সেই চুলগুলির দিকে। এর ফলে ভাঙন ধরে কম। চোখ-মুখে ছোট চুলের খোঁচা লাগবে কম। সাজের সময়েও অল্প তেল মাখিয়ে দিলে চুলগুলির উড়ে বেড়ানোর উপায় থাকবে না অত বেশি।
৫। ঠান্ডা হাওয়া- গরম হাওয়ায় আরও নাছোড়বান্দা হয়ে যায় ছোট ছোট চুল। ফলে ব্লো-ড্রাই করার সময়ে গরমের বদলে ঠান্ডা হাওয়া দিয়ে চুল শুকানো উচিত। তাতে ছোট চুল বাগে আনা সহজ হয়ে যায়।