Advertisement
E-Paper

আরামও চাই, আবার স্টাইলও করতে হবে! গরমের মরসুমে কী ভাবে চিকনকারি কুর্তি পরেই হয়ে উঠবেন অনন্যা?

কোনও বিয়েবাড়ি হোক কিংবা অফিস, পুজো হোক কিংবা বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে সিনেমা দেখতে যাওয়া—গরম পড়তেই চিকনকারি পোশাক থাকে অনেকের পছন্দের তালিকায় একেবারে শীর্ষে। একটা চিকনকারি কুর্তিকে আপনি বিভিন্ন স্টাইলে পরতে পারেন। জিন্‌স, পালাজ়ো বা শারারার সঙ্গেও ভাল মানায় চিকনের কুর্তি।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১৮ এপ্রিল ২০২৪ ১১:৫৭
ফ্যাশনে বাড়ছে চিকনকারির দাপট, কোথায় পাবেন সেরা সম্ভার?

ফ্যাশনে বাড়ছে চিকনকারির দাপট, কোথায় পাবেন সেরা সম্ভার? ছবি: সংগৃহীত।

মরসুম বদলের পাশাপাশি ফ্যাশনেও বদল আসে। গরমের দিনে পোশাক হতে হবে আরামদায়ক, যা পরে সারা দিন ফুরফুরে থাকা যায়। গরমের ফ্যাশনে দাপট বাড়ে চিকনকারির। কোনও বিয়েবাড়ি হোক কিংবা অফিস, পুজো হোক কিংবা বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে সিনেমা দেখতে যাওয়া—গরম পড়তেই চিকনকারি পোশাক থাকে অনেকের পছন্দের তালিকায় একেবারে শীর্ষে।

নবাবের শহর লখনউ কেবল বিরিয়ানি-কবাবের জন্যই বিখ্যাত নয়, সেখানকার চিকনকারি নকশার খ্যাতি বিশ্ব জুড়ে। ছবির প্রচারে হোক কিংবা ইনস্টাগ্রামের ফোটোশুট— গরমের দিনে বলি নায়িকারাও ক্যামেরাবন্দি হন চিকনকারির কুর্তি, সালোয়ার স্যুট কিংবা আনারকলিতে। ফ্যাশন জগতে দিন দিন চিকনের জামার কদর বাড়ছে। কথিত আছে, মুঘল সম্রাট জাহাঙ্গিরের স্ত্রী নুরজাহানের হাত ধরেই ভারতে চিকনকারি শিল্প জনপ্রিয় হয়। পারস্যের সম্ভ্রান্ত ব্যক্তিরা মুঘল দরবারে আসতেন। তাদের পরনে যে পোশাক থাকত, তাতে সাদা কাপড়ের উপর সাদা সুতোর সূক্ষ্ম কারুকাজ নজর কাড়ত সকলের। এ ভাবেই পারস্য থেকে এই শিল্পের চল শুরু হয় ভারতেও। এখন মূলত শিফন, মসলিন, মোডাল সিল্ক, চান্দেরি, তসর, জর্জেট আর সুতির কাপড়ের উপর চিকনকারির কাজ করা থাকে। সুতোর সঙ্গে সিক্যুইন, পুঁতি আর আয়না দিয়েও চিকনের কাজ করা হয়।

একটা চিকনকারি কুর্তি আপনি বিভিন্ন স্টাইলে পরতে পারেন। জিন্‌স, পালাজ়ো বা শারারার সঙ্গেও ভাল মানায় চিকনের কুর্তি।

বিয়েবাড়ি হোক কিংবা অফিসের কোনও অনুষ্ঠান— আপনি একরঙা চিকনকারির সালোয়ার স্যুট পরতে পারেন। এ রকম স্যুটের সঙ্গে খুব বেশি চড়া সাজ নয়, কানে একটা চাঁদবালি ঝুমকো, পায়ে নাগরাই জুতির সঙ্গে একটা ক্লাচ— এতেই সকলের মাঝে নজর কাড়তে পারবেন আপনি।

অফিস, কলেজ কিংবা শপিং, পালাজ়োর সঙ্গেও চিকনকারি কুর্তা আপনি স্টাইল করতে পারেন। একই রঙের পালাজ়ো কিংবা সাদা পালাজ়োর সঙ্গে লম্বা ঝুলের চিকনকারি কুর্তা বেশ মানায়।

জিন্‌সের সঙ্গেও চিকনকারি কুর্তা বেশ ভাল মানায়। এই পোশাক আপনি অফিস, কলেজ, এমনকি জন্মদিনের পার্টিতেও পরে যেতে পারেন। কুর্তার ঝুল লম্বা হোক কিংবা ছোট, সঙ্গে আফগানি কিংবা জার্মান সিলভারের গয়না পরে নিলেই হল। তাতেই সম্পূর্ণ হবে আপনার সাজ।

শহরের বিভিন্ন বাজারে গেলেই চিকনকারি পোশাক কিনতে পারেন। দক্ষিণাপণের উত্তরপ্রদেশের দোকানে, উত্তরাপণে ঢুঁ দিলেই ৫০০-২০০০ টাকার মধ্যে চিকনকারি কুর্তি মিলবে। পেয়ে যাবেন আনারকলি, সালোয়ার কামিজের কাপড়ের সম্ভার। তবে এই সব চিকনকারি কিন্তু মেশিনের হয়। হাতে করা চিকনকারি কম সংখ্যক দোকানেই মিলবে। নিউ মার্কেটের এ ব্লকে একটি চিকনকারি কাপড়ের দোকান আছে। সেখানে কম কাজের চিকনকারি কাপড়ের স্যুট পিস পাওয়া যাবে ১৮০০ থেকে ২০০০-এর মধ্যে। আর ভরাট জাল কাজ চাইলে ৫০০০ টাকার মধ্যে স্যুটের কাপড় পাবেন ওই দোকানে। অনলাইনে মিন্ত্রা, আজিওতেও চিকনকারি কাপড়ের সম্ভার পেতে পারেন। এ ছাড়া ইনস্টাগ্রামেও একাধিক পেজে চিকনের নকশা করা শাড়ি, ওড়না, কামিজ ও স্যুট পিস বিক্রি হয়।

chikankari Fashion Hacks
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy