নির্মেদ শরীর চাই। কোমরের ভাঁজ হবে নিখুঁত। সেই কারণেই নিয়ম করে শরীরচর্চা করছেন? জিমে যান, ওজন তোলেন। শারীরিক কসরতে খামতি নেই। কিন্তু ত্বক বা চুলের দিকে বাড়তি নজর দেন কি?
শরীরচর্চার সময় ঘাম হয়। স্বাভাবিক ভাবেই চুলের গোড়া ভিজে যায়। ঘাম হলে চুল তেলচিটে হয়ে যায়। তার উপর ভিজে থাকা চুলের গোড়া আলগা হয়ে চুল ঝরার সমস্যাও বেড়ে যায়। ঘামে ভেজা চুলে যেমন দুর্গন্ধ হতে পারে, তেমনই মাথার ত্বকে জীবাণু সংক্রমণের আশঙ্কাও থাকে। ঠিক সেই কারণে, শরীরচর্চার পর চুলের দিকেও বিশেষ নজর দেওয়া দরকার।
কী ভাবে চুলের যত্ন নেবেন?
আরও পড়ুন:
কেশচর্চা শিল্পীরা বলছেন, চুলের ধরন, কতখানি পরিশ্রমের শরীরচর্চা করছেন কেউ, তার সঙ্গেও বিষয়টি সম্পর্কিত। ওজন নিয়ে দীর্ঘ শরীরচর্চা করলে ঘাম বেশি হবে। সে ক্ষেত্রে নিয়মিত শ্যাম্পু করা দরকার।
চুল ধোয়া: ঘাম, তেলচিটে ভাব দূর করার জন্য শরীরচর্চা করার বেশ কিছু ক্ষণ পরে চুল ধুয়ে নেওয়া দরকার। মাথার ত্বক ভাল করে ধুয়ে নিলে সংক্রমণের আশঙ্কা কমবে। মৃদু কোনও শ্যাম্পু ব্যবহার করা যেতে পারে।
শ্যাম্পু: ঘাম বেশি হলে শ্যাম্পু করতে হবে। না হলে চুল ধুয়ে নিলেও হবে। মাথার ত্বক হাত বা ব্রাশের সাহায্যে পরিষ্কার করে নেওয়া জরুরি। নিয়মিত শ্যাম্পু করা চুলের জন্য বিশেষ ভাল নয় যদিও। এ ক্ষেত্রে শ্যাম্পুর পরে কন্ডিশনার ব্যবহার করতে হবে, যাতে চুল রুক্ষ হয়ে না পড়ে।
ড্রাই শ্যাম্পু: সন্ধ্যা বা রাতে সব সময় স্নান করা সম্ভব না হলে ড্রাই শ্যাম্পু ব্যবহার করতে পারেন। এতে চুলের গোড়ায় জমা তেল, ঘাম পরিষ্কার হয়ে যাবে। তবে তা মাঝেমধ্যেই করা ভাল।
চুল বাঁধা: শরীরচর্চার সময় চুল বেঁধে নেওয়া দরকার। এতে চুল ঘষা খাবে না, ঝরবে কম। কিন্তু শক্ত করে বাঁধলে হবে না। বরং সিল্কের ফিতে দিয়ে চুলের গোড়া একটু আলগা রেখে চুল বেঁধে নিতে পারেন। রাবার ব্যান্ড ব্যবহার করলে, সেটি খুলতে গেলেই চুলে টান পড়বে। চুল ঝরবে বেশি।
চুল আঁচড়ানো: শরীরচর্চার পরে হাতের সাহায্যে চুল খুলে দিন। হাত দিয়ে জট ছাড়াতে পারেন। না হলে বড় দাঁড়ার চিরুনি ব্যবহার করতে পারেন। সরু চিরুনি ব্যবহার করলেই চুলে টান পড়বে। চুল ঝরার আশঙ্কা বাড়বে।