বর্ষার দিনে বারান্দা কিংবা জানলার ধারে বসে বৃষ্টি দেখার মতো বিলাসিতা আর কিসেই বা আছে! তবে বর্ষায় মন ব্যাকুল হওয়া ছাড়াও, সঙ্গী হয় ত্বকের চিটচিটে ভাব। বাতাসের অত্যধিক আর্দ্রতা এর অন্যতম বড় কারণ। আর্দ্রতার কারণে ঘাম বিশেষ হয় না। কিন্তু সারা ক্ষণই ত্বকে তেলতেলে ভাব থাকে। ক্রিম, ময়েশ্চারাইজ়ার কিংবা অন্যান্য প্রসাধনী মেখেও লাভ হয় না। বৃষ্টির দিনে তাই ত্বকের বিশেষ যত্ন নিতেই হয়।
সারা বছর যে রুটিন মেনে রূপচর্চা করেন, বর্ষায় সেই রুটিনে বদল আনুন। বর্ষার বাতাস বেশি আর্দ্র। ত্বক অত্যধিক শুষ্ক হয়ে পড়ে। ফলে এই সময়ে রূপটান প্রসাধনী ব্যবহার করলে ত্বকের ছিদ্রপথ রুদ্ধ হয়ে যায়। বাড়ে ব্রণের ঝুঁকি। ত্বকের ব্রণ অস্বস্তি দ্বিগুণ করে তুলতে পারে। তাই ব্রণ হতে দেওয়া যাবে না।
ত্বকের যত্নে
সারা বছর ফেস ওয়াশ ব্যবহার না করলেও বর্ষায় কিন্তু করতেই হবে। এতে ত্বকের রন্ধ্রে জমে থাকা বাড়তি তেল বেরিয়ে যাবে। তাতে ব্রণ বা র্যাশের সমস্যা হবে না। ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখতে বর্ষায় নিয়ম করে ব্যবহার করুন শিট মাস্ক। শীতের মতো বর্ষাকালেও ত্বকে টান ধরে। ত্বকে তেলের পরিমাণও বেড়ে যায়। ত্বকের তৈলাক্ত ভাব কমাতে শিট মাস্ক বেশ উপকারী।
আরও পড়ুন:
শুষ্ক ঠোঁটের যত্ন
বর্ষায় ঠোঁট শুকিয়ে যায়। শুষ্ক ঠোঁটের অস্বস্তি এড়াতে অনেকেই লিপবাম ব্যবহার করেন। তাতে ঠোঁট আরও শুকিয়ে যায়। এই সময়ে গোলাপ জল, গ্লিসারিন আর সৈন্ধব লবণ একসঙ্গে মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে, সেটা দিয়ে ঠোঁটে স্ক্রাবার হিসাবে ব্যবহার করতে পারেন। তাতে ঠোঁটের মৃত কোষ উঠে গিয়ে, ঠোঁট নরম থাকবে।
শরীরের ট্যান
মুখে সানস্ক্রিন মাখলেও, সারা শরীরে সব সময় সানস্ক্রিন লোশন মাখা হয় না। ফলস্বরূপ ট্যান পড়ে যায়। তবে এই ট্যান তোলারও রয়েছে কৌশল। তার জন্য বানিয়ে নেন বিশেষ প্যাক। টক দই, চন্দনের গুঁড়ো, হলুদ একসঙ্গে পেস্ট করে সেটি ব্যবহার করলেই ট্যান চলে যাবে।
মাথার ত্বকের চিটচিটে ভাব দূর করতে
বর্ষায় বাতাসের আর্দ্রতা এবং ঘাম একসঙ্গে মাথার ত্বক চিটচিটে করে তোলে। ফলে একটানা একটা অস্বস্তি হতেই থাকে। সেই অস্বস্তির অবসান ঘটাতে পারে মধু এবং টক দই। দই, মধু, ডিমের সাদা অংশ একসঙ্গে মিশিয়ে মাথার ত্বকে ব্যবহার করলেই চুল হয়ে উঠবে নরম ও জেল্লাদার।