ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখতে সাহায্য করে কাঁচা দুধ। মেকআপ তোলার সময়ে ক্লিনজ়ারের পরিবর্তে অনেকে এই প্রাকৃতিক উপাদানের উপর ভরসা করেন। প্রোটিন, ভিটামিনে ভরপুর কাঁচা দুধকে ত্বকের বন্ধু বলেই জেনে এসেছেন এত কাল। কিন্তু রূপচর্চা শিল্পীরা বলছেন, কাঁচা দুধ সকলের ত্বকের পক্ষে উপযোগী নয়। তাই কাঁচা দুধের বাটিতে তুলো ভিজিয়ে তা মুখে বোলানোর আগে জেনে নিন, তা থেকে ত্বকের কী ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
আরও পড়ুন:
১) ব্যাক্টেরিয়াল সংক্রমণ:
দুধ থেকে ত্বকে ব্যাক্টেরিয়াঘটিত সংক্রমণ হওয়ার আশঙ্কা প্রবল। নানা ধরনের মাইক্রোঅর্গ্যানিজ়মের পাশাপাশি কাঁচা দুধের মধ্যে ই কোলাই, স্যালমোনেল্লা কিংবা লিস্টেরিয়ার মতো ক্ষতিকর ব্যাক্টেরিয়া থাকে। কাঁচা দুধ খেলে যেমন সমস্যা হতে পারে, তেমনই মাখলেও হতে পারে।
২) অ্যালার্জির আশঙ্কা:
দুধ খেলে যেমন অনেকের অ্যালার্জি হয়, মাখলেও মুখে একই রকম সমস্যা হতে পারে। পুষ্টিবিদেরা বলছেন, দুধে যথষ্ট পরিমাণে প্রোটিন থাকে। সেই প্রোটিন সব ধরনের ত্বকের পক্ষে উপযোগী নয়। বিশেষ করে স্পর্শকাতর ত্বকে এই উপাদানটি বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে। অ্যালার্জিপ্রবণ হলে তো কথাই নেই।
৩) ত্বকে পিএইচের ভারসাম্য নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা:
স্বাস্থ্যোজ্জ্বল ত্বকে পিএইচের মাত্রা ৪.৫ থেকে ৫.৫ থাকার কথা। কিন্তু কাঁচা দুধের মধ্যে প্রাকৃতিক সমস্ত উৎসেচক এবং পিএইচের মাত্রা তার চেয়ে অনেক বেশি। ফলে কাঁচা দুধ মুখে মাখলে ত্বকের সমস্যা বাড়বে। রূপচর্চা শিল্পীরা বলছেন, কাঁচা দুধ মেখে ত্বকের পিএইচের সমতা নষ্ট হলে ত্বক আরও স্পর্শকাতর হয়ে পড়ে। কারও কারও ক্ষেত্রে ব্রণের বাড়বাড়ন্ত দেখা যায়।