পুজোর ফ্যাশন কেমন হবে? ফ্যাশনদুরস্ত ‘নায়িকা’রা বলতে পারেন, ‘যা পরব, তা-ই ফ্যাশন’! কিন্তু যে মেয়েটি সকাল থেকে রাত অফিসের ডেস্কে বসে কাটিয়ে দেন? সাজতে তিনিও কম ভালবাসেন না! সারা বছর যেমনই কাটুক, পুজোর ক’টা দিন ভিড়ের মধ্যে নজর কাড়তে চান সেই মেয়েটিও। চান প্রিয়জনের চোখে এবং নিজস্ব আয়নায় ‘নায়িকা’ হতে। কিন্তু সংসার, স্বামী-সন্তান, অফিস, বয়স্ক বাবা-মা কিংবা নিজের চেষ্টায় দাঁড় করানো ব্যবসা দশ হাতে সামলে ট্রেন্ডের খবর নেওয়ার ফুরসত হয় না তাঁর । তিনি বা তাঁর মতো অনেকেই হয়তো ঠিক করে উঠতে পারেননি, ষষ্ঠীর সকাল, সপ্তমীর সন্ধে, অষ্টমীর অঞ্জলি, নবমীর রাত অথবা দশমীর বরণে কোন শাড়ি কী ভাবে পরবেন? তা বলে কি ফ্যাশনে কী ‘ইন’, তা না জেনেই পুজোর সাজগোজ হবে? মোটেই না। বাংলার দশভুজাদের জন্য আনন্দবাজার ডট কমে শেষ মুহূর্তের ‘সাজেশন’ সাজিয়ে দিলেন খ্যাতনামী সব বুটিকের পোশাকশিল্পীরা।
পুজো মানে চৌকাঠে আল্পনা। ঠাকুরদালানের চাতালে ঝুড়িতে ১০৮ পদ্ম। রেডিয়োতে ‘মহিষাসুরমর্দ্দিণী’। দূরাগত শাঁখের আওয়াজ। ঢাকের বাদ্যি। বাতাসে ধুনোর গন্ধ। এই সব কিছু ১২ হাতের ক্যানভাসে বন্দি করেছেন ‘সুতা’র সু-সুজাতা বিশ্বাস এবং তা-তানিয়া বিশ্বাস। বাংলার পুজোর চিরকালীন শুভ রং— সাদা-লাল। সেই রং মিলন্তিতেই দুধ সাদা মল কটনের উপর লাল আর ম্যাট সোনালি ব্লক প্রিন্ট। শাড়িটি অনায়াসে ষষ্ঠীর বোধন বা অষ্টমীর অঞ্জলির সাজ হতে পারে। পাশের ডোলা সিল্কে গামছা চেকের শাড়িটি হতে পারে দশমীর ঠাকুর বরণের জন্যও আদর্শ।