চোখের সাজ সব সময়েই গুরুত্ব পায়। একটা সময়ে কাজল দিয়েই চোখ সাজাতেন মেয়েরা। এখন অবশ্য স্মোকি, গ্রাফিক ডিজ়াইন, ক্যাট আই, উইঙ্গড... তার পর স্টোন, সিকুইন বসানো নানা ধরনের আই মেকআপ জনপ্রিয় হয়েছে। চোখ ঠিকমতো সাজাতে পারলে তা দেখতে বড় ও টানাটানা লাগবে। বাজারে ওয়াটারপ্রুফ, স্মাজ প্রুফ থেকে শুরু করে নানা ধরনের কাজল পাওয়া যায়। কিন্তু জানেন কি, আপনি কী ভাবে চোখের মেকআপ করছেন, তার উপরেই নির্ভর করবে সবকিছু।
চোখ সাজাবেন কী ভাবে?
কাজলের জাদু
চোখের ভিতরের কোণের কাজল একটু বাড়িয়ে মিলিয়ে দেওয়া হলে, চোখ আয়তাকার দেখতে লাগবে। আবার চোখের সামনের কোণে ক্যাটস আইয়ের মতো কাজল টেনে মাঝের আংশটা ছেড়ে, চোখের বাইরের কোণ মিলিয়ে দেওয়া হলে, ছোট চোখও উজ্জ্বল ও মোহময়ী দেখতে লাগবে।
চোখের প্রাইমার
চোখে প্রাইমার দিয়ে শুরু করুন মেকআপ। ছোট ব্লেন্ডিং ব্রাশে অল্প ম্যাট ব্রাউন আইশ্যাডো নিয়ে আলতো করে উপরের ল্যাশ লাইন বরাবর টানুন। চোখের মাঝখান থেকে শেষ পর্যন্ত ফোকাস করুন, এতে চোখের আকার লম্বাটে দেখাবে।
টানাটানা চোখ
কাজল পরার সময় টেবিলের উপর কনুইয়ের ভর দিন। হাত কাঁপবে না। যে চোখে কাজল পরছেন, সেই চোখ হালকা হাতে টেনে ধরুন। স্ট্রোক দিতে সুবিধে হবে। কাজল কখনও এক টানে পরবেন না। ছোট ছোট ধাপে পরাই সবচেয়ে ভাল। উইঙ্গড আই তৈরি করতে পেনসিলটি দিয়ে বাইরের কোণ উপরের দিকে ও ভিতরের কোণটি নীচের দিকে টেনে দিন। তাতেই চোখ সুন্দর দেখাবে।
আরও পড়ুন:
আই লাইনার পরার ধরন
চোখ বড় দেখানোর জন্য নীচের চোখের পাতায় সাদা লাইনার পরেন অনেকেই। ওই সাদা লাইনার ভ্রু হাইলাইটিংয়ের কাজও করে। মেকআপ করার সময় ভ্রুর উপরে এবং নীচের অংশে সাদা লাইনার দিয়ে দাগ দিন। যেমন ভ্রু চাইছেন সেই ভাবেই রেখা টানবেন। এ বার একটা স্পঞ্জ দিয়ে দু’পাশে ভাল ভাবে মিশিয়ে নিয়ে তার উপর ফেস পাউডার বা হালকা ফাউন্ডেশন লাগিয়ে নিন।
আইশ্যাডোর চমক
ক্রিম আইশ্যাডো হলে চোখের পাতায় ব্রাশ দিয়ে বা আঙুল দিয়ে লাগিয়ে নিন। তার পর পরিষ্কার ব্রাশ দিয়ে বা অন্য আঙুল দিয়ে বাড়তি রং মুছে ফেলুন। পোশাকের সঙ্গে অবশ্যই মানানসই হতে হবে আইশ্যাডোর রং। আবার পোশাকের রঙের সঙ্গে কনট্রাস্ট করেও আইশ্যাডো লাগাতে পারেন। আইশ্যাডো গাঢ় রঙের হলে চোখের নীচে কাজল না পরলেও চলে। একই সঙ্গে চোখের উপরে ও নীচে ভারী মেকআপ ভাল দেখায় না। সেটা খেয়াল রাখতে হবে।