শীত পড়েছে বোঝা যায় ঠোঁট ফাটতে শুরু করলে। যেহেতু ঠোঁটের ত্বক পাতলা হয়, তাই রুক্ষ আবহাওয়ায় শুকিয়েও যায় সবার আগে। শীতে তাই দিন ভর ঠোঁটের যত্ন নিতে হয়। হয় লিপ বাম নয়তো ময়েশ্চারাইজ়ার দিয়ে নরম রাখতে হয় ওষ্ঠাধর। শীতে রোদ মিঠে হয় ঠিকই, কিন্তু এই রোদে বেরিয়েও অনেকের ঠোঁটের ত্বক কালচে হয়ে যায়। তবে কয়েকটি বিষয়ে নজর রাখলে বিশেষ যত্নআত্তি ছাড়াই শীতেও নরম এবং আর্দ্র থাকবে ঠোঁট। বজায় থাকবে স্বাভাবিক গোলাপি আভাও।
১) ঠোঁটের স্বাস্থ্য অনেকটাই নির্ভর করে সার্বিক স্বাস্থ্যের উপরেও। তাই ঠোঁটের আর্দ্রতা বজায় রাখতে হলে বেশি করে জল খেতে হবে।
২) খাদ্যাভ্যাসের উপরেও নির্ভর করে ঠোঁটের ত্বকের স্বাস্থ্য, বিশেষ কিছু ভিটামিন এবং খনিজের অভাবে যা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। যেমন ভিটামিন বি, জিঙ্ক এবং আয়রনের অভাবে ঠোঁট দ্রুত শুষ্ক হয়ে যেতে পারে। তাই শীতে সবুজ শাকসব্জি বেশি করে খেতে হবে।
৩) রোদে ঠোঁটের ত্বক ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। শীতে ঠোঁটেও সানবার্ন হয়। অতি বেগুনি রশ্মি থেকে ঠোঁটকে রক্ষা করতে তাই শীতেও সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন ঠোঁটেও। সানস্ক্রিনে একটু জল মিশিয়ে নিয়ে ঠোঁটে লাগান বাইরে বেরনোর আগে। এ ছাড়া সানস্ক্রিন যুক্ত লিপ বামও ব্যবহার করতে পারেন।
৪) ঠোঁটকে ভাল রাখতে প্রতিনিয়ত মরা কোষ দূর করা দরকার। ঠোঁটের মৃতকোষ দূর করতে নরম টুথব্রাশে এক ফোঁটা তেল নিয়ে ঠোঁটে ঘষুন। তার পরে জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। ঠোঁট আবার নিজের রং ফিরে পাবে। অথবা গরম জলে একটু মধু ফেলে ঘষুন ঠোঁটে। মধু প্রাকৃতিক ভাবেই আর্দ্রতা বাড়াতে সক্ষম। আবার এই মিশ্রণ স্ক্রাবারেরও কাজ করে। ঠোঁটের আর্দ্রতা বজায় রাখতে রাতে শোয়ার আগে ঠোঁটে দু’ ফোঁটা নারকেল তেল ঘষে নিন।
৫) মেক আপ তোলার সময়ও আমরা ঠোঁটের দিকে খুব একটা নজর দিই না। এতেও ঠোঁটের ক্ষতি হয়। অনেক ক্ষণ মেক আপ বসে ঠোঁটকে কালো করে। তাই ত্বকের মতোই যত্ন করে তুলুন ঠোঁটের মেক আপও।