ধুতরো ফলে বিষাক্ত উপাদান আছে বলে সতর্ক থাকতে বলা হয়। তবে ধুতরো ফুল ও গাছের পাতা ঔষধি গুণে ভরপুর। সঠিক ভাবে ও সঠিক পরিমাণে ব্যবহার করতে পারলে চুল পড়ার সমস্যা কমবে বলেই জানানো হয়েছে নানা গবেষণাপত্রে। ‘ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ হেল্থ’ থেকে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, ধুতরো ফুল ও পাতার নির্যাস স্বল্প পরিমাণে ব্যবহার করলে, মাথার ত্বকের প্রদাহ কমবে। এই প্রদাহের কারণেই চুল পড়ার সমস্যা বাড়ে। পাশাপাশি, মাথার ত্বকের পিএইচের ভারসাম্যও বজায় থাকবে।
চুলের জন্য কতটা উপকারী ধুতরো?
ধুতরো ফুল ও পাতার নির্যাসে থাকে স্কোপোলেটিন নামে একটি যৌগ যার অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি ও অ্যান্টি-ফাঙ্গাল গুণ আছে। এটি অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টে ভরপুর, যা চুলের গোড়া মজবুত করে ও পুষ্টি জোগায়। চুল পড়ার সমস্যা কমায়। তা ছাড়া ধুতরো ফুল ভিটামিন ও নানা খনিজ উপাদানে ভরপুর। মাথার ত্বকের যে কোনও সংক্রমণজনিত সমস্যাও দূর করতে পারে।
আরও পড়ুন:
কী ভাবে ব্যবহার করবেন?
ধুতরো পাতা ভাল করে ধুয়ে শুকিয়ে নিতে হবে। শুকনো পাতা গুঁড়ো করে তা যে কোনও ক্যারিয়ার অয়েল, যেমন নারকেল তেল বা অলিভ অয়েলের সঙ্গে মিশিয়ে মাথার ত্বক ও চুলে ভাল করে মালিশ করতে হবে। তবে খেয়াল রাখবেন, ধুতরো পাতার নির্যাস কিন্তু কম পরিমাণে তেলে মেশাতে হবে। সপ্তাহে অন্তত তিনও এই তেল মাথায় মাখলে চুলের বৃদ্ধি যেমন হবে, ঘনত্বও বাড়বে।
ধুতরো ফুলের নির্যাস টনিক বা সেরাম হিসেবে মাথায় মাখা যেতে পারে। ফুলের রস ল্যাভেন্ডার বা জোজোবা এসেনশিয়াল অয়েলের সঙ্গে মিশিয়ে নিয়ে হেয়ার টনিক হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে। অথবা জল বা অ্যালো ভেরার সঙ্গে মিশিয়ে হেয়ার সিরাম হিসেবেও চুলে মাখা যেতে পারে।
এই প্রতিবেদন সচেতনতার উদ্দেশ্যে লেখা। ধুতরো ফুল বা পাতা চুলের বৃদ্ধির জন্য ব্যবহার করতে হলে খুব কম পরিমাণেই নিতে হবে। অ্যালার্জির সমস্যা থাকলে ধুতরো ব্যবহার না করাই ভাল। ব্যবহারের আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।