স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাসের মধ্যে উপবাস যেমন বিশেষ ভাবে প্রয়োজন, তেমনই ত্বকের জন্যও উপবাস জরুরি। নয়তো রোজ টোনার, সিরাম, ময়েশ্চারাইজ়ার, মাস্ক, ক্লিনজ়ারের ভিড়ে যেন নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে আসে ত্বকের। তাই মাঝে মধ্যে রুটিনে ব্যাঘাত ঘটলে ত্বকের জন্য তা ভালই বটে। প্রত্যেকের মতো আপনার ত্বকেরও কখনও কখনও উপবাস করা প্রয়োজন।
অতিরিক্ত পণ্যের ব্যবহার থেকে বিশ্রাম দেওয়ার এই ভাবনাকেই 'ত্বকের উপবাস' বলা হয়। যেখানে ১০ ধাপের ত্বকচর্চা প্রায় শূন্যে পৌঁছোয়। সম্প্রতি ইনস্টাগ্রামে ত্বকের উপবাসের বিষয়টি রীতিমতো আলোচিত হচ্ছে। ঠিক যে ভাবে ১০ ধাপের ত্বকচর্চা আলোয় এসেছিল, একই ভাবে উপবাস নিয়েও আলোচনা শুরু হয়েছে সমাজমাধ্যমে। প্রশ্ন উঠছে, ত্বকচর্চার এই ধারা কী ভাবে উপকারী?
ত্বকের উপবাস মানে পণ্যের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করা নয়। নতুন ভাবে ত্বক এবং পণ্যের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি করা হয় এই সময়ে। এই বিরতির সময়ে ত্বক নিজে নিজে খানিক সেরে ওঠার চেষ্টা করে। তার পর আবার পণ্যের ব্যবহারে ফিরে যায়। কিন্তু এই বিরতির সময়ে ত্বক নিজস্ব প্রাকৃতিক তেল তৈরি করতে পারে, ত্বকের বাইরের স্তর মেরামত হতে পারে, ত্বক সুস্থ ও উজ্জ্বল হয়ে ওঠে। স্বাভাবিক ভাবে কাজ করার সুযোগ পায় ত্বক এই সময়ে। তৈলাক্ত ত্বকের ক্ষেত্রে এটি তেল উৎপাদন কমানোর কাজও করতে পারে তখনই।
তবে উপবাসের ফলে রাতারাতি ত্বকের ঔজ্জ্বল্য ফেরে না। শুরুর দিকে খানিক অস্বস্তি হতে পারে। ত্বক শুষ্ক, রুক্ষ, নিস্তেজ দেখাতে পারে। অতিরিক্ত পণ্য ব্যবহারের পর আচমকা সব বন্ধ হয়ে গেলে এই প্রতিক্রিয়াই স্বাভাবিক। কিছু দিন পর নিজে নিজেই তেল অর্থাৎ সিবাম উৎপাদন করতে শুরু করে ত্বক। তখন ত্বক ধীরে ধীরে এমন পর্যায়ে আসে, যা অতি শুষ্ক নয়, অতি তৈলাক্ত নয়। যাঁদের ব্রণের সমস্যা রয়েছে, তাঁদের ক্ষেত্রে এই সময়টা উপকারী হতে পারে।