Advertisement
E-Paper

রক্তের নমুনা সংগ্রহ চলছে

গদাধর, পানবাড়ি এলাকায় মশা মারতে বাড়ি বাড়ি চলছে ডিডিটি স্প্রে। শনিবার এলাকায় গিয়ে দেখা গেল স্বাস্থ্য কর্মীরা ছোট ছোট দলে ভাগ হয় জ্বরে আক্রান্ত বনবস্তির বাসিন্দাদের রক্তের নমুনা সংগ্রহ করছেন। বিশেষ কিটের সাহায্যে সঙ্গে সঙ্গে ম্যালেরিয়া আক্রান্ত কিনা তা জেনে রোগীদের হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে ওষুধ। ম্যালেরিয়ার প্রকোপ নিয়ন্ত্রণ করতে এ দিন এলাকায় নজরদারি চালান আলিপুরদুয়ার জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক পূরণ শর্মা।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২১ জুন ২০১৫ ০২:৫৮
মশা তাড়াতে স্প্রে করা হচ্ছে গদাধর বনবস্তিতে। ছবিটি তুলেছেন নারায়ণ দে।

মশা তাড়াতে স্প্রে করা হচ্ছে গদাধর বনবস্তিতে। ছবিটি তুলেছেন নারায়ণ দে।

গদাধর, পানবাড়ি এলাকায় মশা মারতে বাড়ি বাড়ি চলছে ডিডিটি স্প্রে। শনিবার এলাকায় গিয়ে দেখা গেল স্বাস্থ্য কর্মীরা ছোট ছোট দলে ভাগ হয় জ্বরে আক্রান্ত বনবস্তির বাসিন্দাদের রক্তের নমুনা সংগ্রহ করছেন।
বিশেষ কিটের সাহায্যে সঙ্গে সঙ্গে ম্যালেরিয়া আক্রান্ত কিনা তা জেনে রোগীদের হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে ওষুধ। ম্যালেরিয়ার প্রকোপ নিয়ন্ত্রণ করতে এ দিন এলাকায় নজরদারি চালান আলিপুরদুয়ার জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক পূরণ শর্মা।
স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, গত তিন দিনে রাজাভাতখাওয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের গদাধর বনবস্তি, পানবাড়ি এলাকায় ৮৯ জনের রক্তে ম্যালেরিয়ার জীবাণু প্লাসমোডিয়াম ভাইভ্যাক্সের জীবাণু পাওয়া গিয়েছে। প্রতিদিন বাড়ছে জ্বর আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক পূরণ শর্মা বলেন, “ম্যালেরিয়ার চিকিৎসা শুরু হয়েছে। এলাকার সমস্ত বাসিন্দার রক্তের নমুনা পরীক্ষা করা হচ্ছে। বাসিন্দাদের রক্তে ম্যালেরিয়া ধরা পড়লে সঙ্গে সঙ্গে প্রয়োজনীয় ওষুধ দেওয়া হচ্ছে। এলাকায় ডিডিটি স্প্রের কাজ চলছে। এলাকায় মশারি বিলির জন্য সংশ্লিষ্ট মহলে জানানো হবে।”
এ দিন এলাকায় গিয়ে দেখা গেল বাড়ি বাড়ি ডিডিটি স্প্রে করছেন আলিপুরদুয়ার ২ ব্লকের কর্মীরা। এলাকায় মশার উৎপাত বেড়েছে বলে অভিযোগ করেন, স্থানীয় বাসিন্দা আমির রাভা। পানবাড়ি ২১ মাইল বন বস্তির বাসিন্দা সুখু মারান্ডি, মুরলি মুর্মু বড়কা র্মুমুরা জানান, বছর তিনেক আগে সরকারি তরফে মশারি পেয়েছিলেন। এ বছর বৃষ্টি নামতেই বেড়েছে মশার উৎপাত।

বছরভর এই এলাকায় স্বাস্থ্যকর্মীদের দেখা মেলেনা বলেও বাসিন্দাদের অভিযোগ। ২১ মাইল বন বস্তিতে প্রায় একবছর পর এদিন স্বাস্থ্য কর্মীদের দেখা মিলল। এলাকার বাসিন্দা ডুমনি টুডু জানান, তার ৮ বছরের ছেলে খোকন টুডু ও ছ’বছরের মেয়ে রাণি টুডুর প্রায় ৬-৭ দিন ধরে জ্বরে আক্রান্ত। সঙ্গে কাশি রয়েছে। এদিন স্বাস্থ্য কর্মীদের কাছে গেলে তারা রক্ত পরীক্ষা করে জানান ম্যালেরিয়া নেই। প্রথমে জ্বরের জন্য কোনও ওষুধ দেয়নি। বাড়ি ফিরে এসে প্রতিবেশীদের সঙ্গে আলোচনা করে ফের স্বাস্থ্য কর্মীদের কাছে ছেলে মেয়ের জন্য ওষুধ চাইলে তখন তাঁকে ওষুধ দেওয়া হয়। মালতি র্মুমু জানান তার দেড়বছরের মেয়ে সাবিত্রি টুডুর জ্বর হয়েছে ২ দিন আগে। তবে ম্যালেরিয়া ধরা পড়েনি।

বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের গদাধর রেঞ্জের রেঞ্জ অফিসার ভবেন বসুমাতা জানান গদাধর বনবস্তিতেই গত দুদিনে ৬৩ জনের রক্তে প্লাসমোডিয়াম ভাইভ্যাক্সের জীবাণু পাওয়া গিয়েছে।

Blood Sample Collection alipurduar panchayat malaria
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy