টেবিল থেকে বিছানা, হেঁশেল সময় নিয়ে গোছালেন বটে, কিন্তু সপ্তাহখানেক যেতে না যেতেই সেই এক অবস্থা। খাওয়ার টেবিলে রকমারি পাত্র, শিশি-বোতল, হেঁশেলের কোণে প্লাস্টিকের ক্যারিব্যাগ গোঁজা, কোথাও আবার ওয়াড্রোব থেকে উঁকি দিচ্ছে ছেঁড়া একপাটি মোজা। ঘরবাড়ি যেন যুদ্ধক্ষেত্র।
ঘরদোর পরিষ্কারের পরেও হাবজাবি জিনিসে সপ্তাহখানেকে ঘর ভরে যায়। নিয়ম করে সেই সব বাদ দিলেই কিন্তু ঘরের বোঝা হালকা হতে পারে। সেই বাদের তালিকায় কী থাকবে?
আরও পড়ুন:
১। বহু বাড়িতে পেশাগত কারণে কাগজপত্র জমা হয়। তা ছাড়া বাড়িতে পড়ুয়া কেউ থাকলেও অপ্রয়োজনীয় কাগজে ঘর বোঝাই হয়। তা ছাড়া, অনলাইনে কেনাকাটা করলেও জিনিসপত্রের রসিদ, জামার ট্যাগ জমতে থাকে। সপ্তাহখানেক নিয়ম করে সেই বাড়তি জিনিস, কাগজপত্র বাছাই করে সরিয়ে ফেলুন। বহু বাড়িতে খবরের কাগজ ডাঁই হয়ে পড়ে থাকে। প্রয়োজনীয় সংখ্যা সরিয়ে বাকিগুলি সপ্তাহখানেক অন্তর নিয়ম করে সরিয়ে ফেললে ঘর পরিষ্কার থাকবে।
২। প্লাস্টিকের ক্যারিব্যাগ বাড়তি আবর্জনা হয়ে যায়। দোকান-বাজার থেকে আনা প্লাস্টিকের ব্যাগগুলি পরে কাজে লাগবে ভেবে অনেকে হেঁশেলে বা ভাঁড়ার ঘরের এ দিক-সে দিকে গুঁজে রাখেন। এগুলিও ঘরদোর নোংরা হওয়ার কারণ। ফিনফিনে প্লাস্টিক পরিবেশ এবং স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর। এই ধরনের প্লাস্টিকের ব্যবহার এড়াতে বাজার-দোকানের জন্য চটের থলি বা কাপড়ের ব্যাগ ব্যবহার করতে পারেন।
৩। অনেক সময় বাড়িতে এমন অনেক উপহার বা জিনিস পড়ে থাকে, যা কাজে লাগে না বা পছন্দের নয়। সেগুলি অন্য কাউকে দেওয়া যায় কি না দেখতে পারেন। মোট কথা, যা শুধু ঘরজোড়া বা ওয়ার্ড্রোব বোঝাই হয়ে পড়ে থাকে, সেই বাড়তি জিনিস বিদায় করাই ভাল।
৪। বাড়িতে ছোট সদস্য থাকলে তাদের স্কুল প্রজেক্ট, হাতের কাজের জন্য প্রচুর টুকিটাকি জিনিস কেনা হয়। সবটাই সব সময় কাজে লাগে, এমন নয়। অনেক সময় তাদের হাতে আঁকা, তৈরি জিনিস ফেলাও যায় না। সেগুলি কী ভাবে রাখলে ঘরবোঝাই হবে না, আর কোনগুলো বাতিল করা যায়, ভেবে দেখুন। না হলে কাগজ জমতেই থাকবে।
৫। একজোড়া মোজার একটি অনেক সময় হারিয়ে যায়। এই ধরনের জিনিসগুলিও মায়া করে রেখে না দিয়ে ফেলে দিন বা কাজে লাগান। পুরনো জুতো থেকে একপাটি মোজা, ছেঁড়া ব্যাগ— এ সব অপ্রয়োজনীয় হলে বাদ দিন।