পিঠেপুলি হোক বা পায়েস কিংবা মিষ্টি— নলেন গুড় ছাড়া শীত অসম্পূর্ণ। টাটকা খেজুরের রস সংগ্রহ করে ছেঁকে, জ্বাল দিয়ে তৈরি হয় এক উৎকৃষ্ট, উপাদেয় খাবার। নলেন গুড়। শুকনো হাতে গড়া রুটিও যেন অমৃত হয়ে ওঠে একটু গুড়ের ছোঁয়ায়।
শীতের রসনাতৃপ্তিতে নলেনগুড়ের একাধিপত্য। তবে শুধু স্বাদে নয়, পু্ষ্টিগুণেও কম যায় না এটি। সাদা চিনির চেয়ে গুড়ের পুষ্টিগুণ বেশি। সেই মাত্রা নির্ভর করে কোন প্রক্রিয়ায় বা কতটা স্বাস্থ্যসম্মত ভাবে গুড় তৈরি হচ্ছে, তার উপরে।
আরও পড়ুন:
স্বাস্থ্যকর উপযোগিতা
নলেন গুড়ে রয়েছে কার্বোহাইড্রেট এবং প্রাকৃতিক শর্করা। ফলে এটি চিনির মতো ক্ষতিকর নয়। বরং গুড়ের কমপ্লেক্স সুগার রক্তে নির্গত হয় চিনির চেয়ে অপেক্ষাকৃত ধীরে। ফলে রক্তে হঠাৎ করে শর্করার মাত্রা বেড়ে যায় না। তবে উপকারী হলেও ডায়াবেটিকদের খেতে হবে মেপেজুপেই।
হজমে সহায়ক
গুড় হজমকারক উৎসেচকের মাত্রা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। ফলে হজমেও সমস্যা হয় না।
রোগ প্রতিরোধক
গুড়ে থাকা খনিজ, যেমন আয়রন, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম শরীরের পক্ষে উপকারী। তা ছাড়া এতে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টও মেলে, যা অক্সিডেটিভ স্ট্রেস থেকে শরীরকে রক্ষা করে। রোগ প্রতিরোধেও সাহায্য করে।
গা-গরম রাখে
শীতের দিনে নলেন গুড় গা গরম রাখতেও সাহায্য় করে। তা ছাড়া এটি শরীরের প্রাকৃতিক ক্লিনজ়ার হিসাবেও কাজ করে। শরীর থেকে দূষিত পদার্থ দূর করতে সাহায্য করে।
শীতের দিনের ডায়েটে কী ভাবে জুড়বেন গুড়
· গরম দুধে বা ওট্স স্মুদিতে আধ চা-চামচ নলেন গুড় মিশিয়ে নিতে পারেন। গন্ধ তো বটেই, বাড়বে স্বাদও।
· পিঠেপুলি, পায়েসে নলেন গুড় বাড়তি স্বাদ জোগায়। কেকেও চিনির বদলে জুড়তে পারেন টাটকা নলেন গুড়।
· রুটি দিয়েও নলেন গুড় খাওয়া যায়। পরোটাতেও মাখিয়ে নিতে পারেন।
তবে পুষ্টিবিদেরা মনে করান, এতে শর্করার পরিমাণ যথেষ্ট। তাই যথেচ্ছ নয়, বরং পরিমিত পরিমাণে গুড় খেলেই স্বাস্থ্য ভাল থাকবে।