কী ভাবে করব
• সোজা হয়ে চেয়ারে বসুন, মাথা ও ঘাড় সোজা থাকবে। দুই হাত রাখতে হবে ঊরুর ওপর। চোখ বন্ধ করে মন শান্ত রেখে বসুন।
• এ বার চেয়ারের সামনে এগিয়ে এসে বসুন। দুই হাঁটু জড়ো করে এটি হল আসন শুরুর প্রারম্ভিক অবস্থান। ধীরে ধীরে শ্বাস নিন।
• শ্বাস ছেড়ে কোমর থেকে বাম দিকে ঘুরে নিচু হয়ে ডান হাত বাম পায়ের আঙুলে ঠেকান ও বাম হাত সোজা করে ওপরের দিকে তুলুন। একই সঙ্গে ঘাড় ঘুরিয়ে ওপরের আঙুলের দিকে তাকান।
• এই অবস্থানে কয়েক সেকেন্ড থেকে শ্বাস নিতে নিতে সোজা হয়ে প্রারম্ভিক অবস্থানে ফিরে আসুন। শ্বাস প্রশ্বাসের তাল মেলাতে অসুবিধে হলে স্বাভাবিক শ্বাস প্রশ্বাস নিতে নিতে আসন অভ্যেস করতে পারেন।
• শরীরে যতটা সহ্য হয় সে টুকুই করবেন। জোর করে আসন করা ঠিক নয়। প্রথম দিকে নিচু হতে অসুবিধে হতে পারে। পায়ের আঙুলে হাত না পৌঁছলে যতটা পারবেন তত টুকুই নিচু হবেন।
• এ বারে একই ভাবে ডান দিকে ঘুরে নিচু হয়ে বাম হাত দিয়ে ডান পায়ের পাতা ছুঁয়ে ডান হাত ওপরে তুলে ঘাড় ঘুরিয়ে ওপরের দিকে তাকাতে হবে।
• দুই দিক মিলে এক রাউন্ড সম্পূর্ণ হল। পর্যায়ক্রমে ৩ – ৫ রাউন্ড অভ্যাস করতে হবে। অভ্যাস শেষ করে সোজা হয়ে বসে চোখ বন্ধ করে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিন।
আরও পড়ুন: ৮৯তম দিন: আজকের যোগাভ্যাস
সতর্কতা
কোমরে, পিঠে বা ঘাড়ে খুব ব্যথা থাকলে, কিংবা হার্নিয়ার সমস্যায় এই আসনটি করা অনুচিত। স্লিপ ডিস্ক থাকলেও ফরোয়ার্ড ট্যুইস্ট অভ্যাস করবেন না। শুরুতে বর্ণনা অনুযায়ী ছবির মত করে আসনটি করার দরকার নেই। যে টুকু শরীরে কুলোবে ততটুকুই করবেন।
আরও পড়ুন: ৮৮তম দিন: আজকের যোগাভ্যাস
কেন করব
নিয়মিত এই ফরোয়ার্ড ট্যুইস্ট আসনটি অভ্যাস করলে মেরুদণ্ড নমনীয় হয়। শিরদাঁড়ার সংলগ্ন পেশিও অস্থিসন্ধিতে রক্তচলাচল বাড়ে বলে জড়তা কেটে গিয়ে মেরুদণ্ড নমনীয় হয়। ঘাড় ও পিঠের ব্যথা কমে। নিচু হবার কারণে পেটের অভ্যন্তরে রক্ত চলাচল বাড়ে। ফলে হজম শক্তি বাড়ে এবং গ্যাস ও অ্যাসিডিটির সমস্যা চলে যায়।