ছবি: সংগৃহীত
১৯৮৯ সালে তিনি সংস্থায় কর্মী হিসেবে যোগ দিয়েছিলেন, এখন সেই ডেলয়েট সংস্থারই সিইও পুনিত রাজন। ইচ্ছে থাকলেই যে উপায় হয়, একথা স্পস্ট পুনিতের কাহিনিতে।
সংসার ছিল বড়ই টানাপোড়েনের। বাবা-মা স্কুলের টাকা না দিতে পারায় ছোটবেলায় স্কুল ছাড়তে বাধ্য হন পুনিত। কোনও রকমে স্কুল জীবনটা শেষ করে রোহতকের একটি স্থানীয় কলেজ থেকেই স্নাতক স্তরের পড়াশোনা শেষ করেন তিনি। জীবনে কিছু বড় করার স্বপ্ন দেখতেন পুনিত। সংবাদপত্রে এক বিজ্ঞাপন দেখে দিল্লিতে যান কাজ খুঁজতে।
নিজের চেষ্টায় ‘রোটারি স্কলারশিপ’ লাভ করেন পুনিত। স্কলারশিপ পেয়ে পুনিত জীবনের প্রথম বার বিমানে চাপেন। গন্তব্য আমেরিকা। সেখান থেকেই স্নাতকোত্তর পড়াশোনা করেন পুনিত। মাত্র দু’জোড়া জিন্সের প্যান্ট আর কিছু ডলার নিয়েই আমেরিকায় পাড়ি দেন তিনি।
আমেরিকাবাসীদের ইংরেজি উচ্চারণ বুঝতে পারতেন না পুনিত। তাই প্রথম প্রথম বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া বুঝতে যথেষ্ট অসুবিধায় পড়তেন। কয়েক দিন পর থেকে প্রথম দিকের বেঞ্চে হাতে টেপ রেকর্ডার নিয়ে বসতে শুরু করেন। রেকর্ড করা যাবতীয় বিষয় হোস্টেলে গিয়ে ফের শুনতেন পুনিত। সেখান থেকেই জীবন ঘুরে গেল পুনিতের। এক স্থানীয় ম্যাগাজিনের করা রিপোর্টে আমেরিকার সেরা দশ ছাত্রের মধ্যে পুনিতও স্থান করে নেন। তার পরেই ডেলয়েট সংস্থার নজরে আসেন পুনিত। চাকরি পাকা হয় পুনিতের। ৩৩ বছর টানা একই সংস্থায় কাজ করে পুনিত এখন ডেলয়টের সর্বেসর্বা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy