Advertisement
E-Paper

মাস্ক, সাবান, স্যানিটাইজার আর কত দিন? লকডাউনের এ সব অভ্যাস কি অসুখ ঠেকাবে?

হাত ধোওয়া, মাস্ক পরা, স্যানিটাইজার বহন করা, এগুলো  জীবনযাপনের অঙ্গ হয়ে গেলে করোনার সঙ্গে লড়াই অনেক সহজ হবে।

সুজাতা মুখোপাধ্যায়

শেষ আপডেট: ২১ এপ্রিল ২০২০ ১৪:২৮
টিকা না বেরনো অবধি ভরসা মাস্ক, সাবান ও স্যানিটাইজার। ছবি: শাটারস্টক।

টিকা না বেরনো অবধি ভরসা মাস্ক, সাবান ও স্যানিটাইজার। ছবি: শাটারস্টক।

কোভিড-১৯ কবে যাবে বা আদৌ যাবে কি না, বিশেষজ্ঞরা এখনও নিশ্চিত করে বলতে পারছেন না। এ দিকে টিকা আসতে আসতে কম সে কম এক-দেড় বছর। এ রকম পরিস্থিতিতে রোগ ঠেকাতে সম্বল বলতে লকডাউনের সময় বা তার আগে থেকে শেখা কিছু অভ্যাস— যা বছর দেড়েক তো বটেই, সম্ভব হলে জীবনভর চালিয়ে যেতে হবে।

জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ সুবর্ণ গোস্বামীর মতে, “লকডাউন উঠে গেল মানে আপনি মুক্ত বিহঙ্গ, আগে যেমনটা ছিলেন, তেমনটা আর হওয়ার নয়। এই ভাইরাস চলে যাওয়ার জন্য আসেনি। এইচআইভি, ডেঙ্গি, ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস যেমন ঘুরেফিরে আসে, এও তেমন। সময়ের সঙ্গে প্রকোপ হয়তো কমে যাবে। কমবে ধ্বংস করার ক্ষমতা। কিন্তু কবে কমবে, কতটা কমবে বা আদৌ কমবে কি না, তা বলা খুব কঠিন। ভ্যাকসিন কবে আসবে তাও বলা যাচ্ছে না। কাজেই এখন যেমন সাবধান হয়ে চলছেন, মাস্ক পরছেন, হাত ধুচ্ছেন, দূরত্ব বজায় রাখছেন, তেমনই থাকতে হবে তখনও। বাইরে বেরনোর সময় ছোট্ট পাউচে সাবান, স্যানিটাইজার, অতিরিক্ত একটা মাস্ক নিয়ে বেরোবেন। ক্লাব-পার্টি, রেস্তরাঁয় খেতে যাওয়া, চায়ের দোকানে আড্ডা, গায়ে গায়ে বসে সিনেমা-থিয়েটার দেখা, দূরদূরান্তে বেড়াতে যাওয়ার কথা ভুলে থাকতে হবে অন্তত বছর খানেক।”

বিশেষজ্ঞদের মতে, যে কোনও নতুন অভ্যাসের সঙ্গে মস্তিষ্ক খাপ খাইয়ে নিতে ২১ দিন সময় নেয়। তার পর পুরোটাই অভ্যাসে দাঁড়িয়ে যায়। তাই ২১ দিন পর এই হাত ধোওয়া, মাস্ক পরা, স্যানিটাইজার বহন করা, এগুলো জীবনযাপনের অঙ্গ হয়ে গেলে করোনার সঙ্গে লড়াই অনেক সহজ হবে।

আরও পড়ুন: করোনা থেকে সাবধান থাকতে মাস্ক ব্যবহার করব কী ভাবে?

টানা লকডাউন টেনশন বাড়াচ্ছে আপনার? এগুলো ফলো করুন

বার বার হাত ধুলে যে কোনও সংক্রমণের হাত থেকে অনেকটা বাঁচা যায়।

এ সব অভ্যাসের অন্য উপকার

• টয়লেট থেকে এসে, খাওয়ার আগে-পরে, বাইরে থেকে এসে মুখে-নাকে হাত দেওয়ার আগে হাত ভাল করে সাবান জলে ধুয়ে নিলে কিংবা ৭০-৯০ শতাংশ অ্যালকোহলসমৃদ্ধ স্যানিটাইজারে হাত পরিষ্কার করে নিলে ফ্লু থেকে শুরু করে পেটের গোলমাল ও অন্য সংক্রমণজনিত অসুখের আশঙ্কা কমবে।

• মানুষের সঙ্গে ৩-৬ ফুট দূরত্ব বজায় রাখলেও কমবে ড্রপলেট সংক্রমণের আশঙ্কা। তার মধ্যে সাধারন ফ্লু থেকে টিবির মতো জটিল অসুখও অনেক কমবে।

• মাস্ক আপনাকে বাঁচাবে ফ্লু, টিবি, ডাস্ট বা পোলেন অ্যালার্জি থেকে। লকডাউন খুললেই যে পরিবেশ দূষণের প্রকোপ শুরু হয়ে যাবে, মাস্ক পরলে তা কিছুটা ঠেকাতে পারবেন। পরোক্ষ ধূমপানের হাত থেকেও বাঁচবেন কিছুটা।

• চড়া রোদে বেরনোর সময় মাস্ক পরে নিলে অথবা আমেরিকার কিছু অংশে যেমন চোখ বাদে বাকি মাথা-মুখ সব ওড়নায় ঢেকে বেরনোর চল হয়েছে তেমন যদি করেন, ও সঙ্গে ছাতা-সানগ্লাস থাকে, তা হলে ত্বক রোদে পুড়ে যাওয়া থেকে বাঁচবে। রোদ না লাগায় চুল রুক্ষ হবে কম। কমবে সংক্রমণজনিত বিপদের আশঙ্কাও। রোদ এবং মেক আপ এড়িয়ে গেলে ত্বক বরং ভাল হবে আগের চেয়ে।

(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)

COVID-19 Lockdown Masks Hand Sanitizer coronavirus
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy