এ বার থেকে পুরুলিয়া সদর হাসপাতালে ডিজিট্যাল এক্স-রে পরিষেবার সুবিধা পাবেন রোগীরা। দেড় কোটি টাকা ব্যয়ে পুরুলিয়া দেবেন মাহাতো সদর হাসাপাতালে পিপিপি মডেলে এই পরিষেবা প্রকল্প গড়ছে স্বাস্থ্য দফতর। জেলা স্বস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৪ সালের মাঝামাঝি সময়ে এই প্রকল্প মঞ্জুর করে স্বাস্থ্য দফতর। কলকাতার একটি বেসরকারি স্বাস্থ্য পরিষেবা সংস্থা পুরুলিয়ায় এই প্রকল্পটি গড়ছে। ওই সংস্থার তরফে দীপঙ্কর শতপথী বলেন, ‘‘রাজ্যের ১০টি হাসপাতালে আমরা পিপিপি মডেলে ডিজিট্যাল এক্স-রে পরিষেবা চালু করছি। কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি, রামপুরহাট, আসানসোল, আরামবাগ, বিষ্ণুপুর, ঝাড়গ্রাম ও পুরুলিয়ায় এই পরিষেবা চালু করতে চলেছি স্বাস্থ্য দফতরের সঙ্গে যৌথ ভাবে। তার মধ্যে পুরুলিয়াতেই প্রথমে এই পরিষেবা চালু করছি।’’ হাসপাতালের সুপার নীলাঞ্জনা সেন বলেন, ‘‘হাসপাতালে এতদিন ম্যানুয়েল এক্স-রে পরিষেবা যেমন চালু রয়েছে তা আগামী দিনেও চালু থাকবে। পাশাপাশি এই উন্নত পরিষেবাও চালু হচ্ছে।’’ জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক মানবেন্দ্র ঘোষ জানিয়েছেন, পিপিপি মডেলের এই পরিষেবা ২৪ ঘণ্টা চালু থাকবে। মাত্র ১০০ টাকাতেই রোগীরা এখান থেকে এক্স-রে করাতে পারবেন। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামী রবিবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আসানসোল থেকে পুরুলিয়ার এই পরিষেবা চালু করবেন।