E-Paper

দু’টি রূপের মিশ্রণের জেরেই কি এতটা ভয়ঙ্কর হয়ে উঠল পূর্বপরিচিত অ্যাডিনোভাইরাস?

পরিচিত অ্যাডিনোভাইরাস কেন এতটা ভোগাচ্ছে, তা জানতে ৪০টির মতো নমুনার জিনোম সিকোয়েন্সিং করেছিল নাইসেড। ভাইরাসের দু’টি স্ট্রেন ‘অ্যাডিনো ৭’ এবং ‘অ্যাডিনো ৩’-এর মিশে থাকার বিষয়টি।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ০৭:৩৪
An image showing a child is suffering from fever

শহর থেকে জেলা, হাসপাতালে সর্বত্রই বাড়ছে শিশু রোগীর সংখ্যা। প্রতীকী ছবি।

মিউটেশন হয়ে অ্যাডিনোভাইরাসের নতুন কোনও প্রজাতি তৈরি হয়নি ঠিকই, কিন্তু দু’টি স্ট্রেন বা সেরোটাইপের মিশ্রণের ফলে তৈরি হয়েছে ‘রিকম্বিন্যান্ট ভাইরাস’। এ বারের ভয়াবহ পরিস্থিতির নেপথ্যে তা কতটা দায়ী, জানার চেষ্টা করছেন বিশেষজ্ঞেরা। এ দিকে, শহর থেকে জেলা, হাসপাতালে সর্বত্রই বাড়ছে শিশু রোগীর সংখ্যা। স্বাস্থ্য ও আশাকর্মীদের মাধ্যমে শহরের প্রতিটি বাড়িতে গিয়ে শিশুদের স্বাস্থ্য খতিয়ে দেখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কলকাতা পুরসভা।

সূত্রের খবর, পরিচিত অ্যাডিনোভাইরাস কেন এতটা ভোগাচ্ছে, তা জানতে ৪০টির মতো নমুনার জিনোম সিকোয়েন্সিং করেছিল নাইসেড। সেই রিপোর্টেই উঠে এসেছে ভাইরাসের দু’টি স্ট্রেন ‘অ্যাডিনো ৭’ এবং ‘অ্যাডিনো ৩’-এর মিশে থাকার বিষয়টি। নাইসেডের অধিকর্তা শান্তা দত্ত বলেন, “আগেও রিকম্বিন্যান্ট ভাইরাস মিলেছে। কিন্তু তখন সংখ্যায় কম থাকলেও এ বার অধিকাংশই তাতে আক্রান্ত। এই রিকম্বিন্যান্ট ভাইরাসের মধ্যে অ্যাডিনো-৭ সেরোটাইপ আগেও ছিল। এর সঙ্গে মিশেছে অন্য সেরোটাইপ।” তিনি জানান, দু’টি সেরোটাইপ মিশ্রিত ভাইরাস কতটা ভয়াবহ, পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে।

ভাইরোলজিস্ট সিদ্ধার্থ জোয়ারদার জানান, মানুষের অ্যাডিনোভাইরাসের সাতটি (এ থেকে জি পর্যন্ত) প্রজাতি রয়েছে। যার মধ্যে এ পর্যন্ত ৬৮ প্রকার (সেরোটাইপ বা স্ট্রেন) অ্যাডিনোভাইরাসের খোঁজ মিলেছে। তিনি জানান, অ্যাডিনোভাইরাস শ্বাসনালি তথা ফুসফুসের সংক্রমণ, প্রদাহ ছাড়াও পরিপাকতন্ত্র, মূত্রনালি তথা রেচনতন্ত্র এবং চোখের কনজাংটিভা-র সংক্রমণ ও প্রদাহে পটু। তবে, শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণ মূলত ঘটায় অ্যাডিনো ১, ২, ৩, ৫, ৬ ও ৭ সেরোটাইপ।

রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কিছু নমুনা পরীক্ষার জন্য স্কুল অব ট্রপিক্যাল মেডিসিনেও পাঠানো হচ্ছে। এক স্বাস্থ্যকর্তার কথায়, “পরিস্থিতি নজরে রাখা হচ্ছে। পুরসভাগুলিকে সতর্ক করা হয়েছে।” সোমবার মেয়র পারিষদ (স্বাস্থ্য) তথা ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ স্বাস্থ্য আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন। পরে বলেন, ‘‘হাসপাতালে বহু শিশু চিকিৎসাধীন। প্রতিটি বরোর স্বাস্থ্য আধিকারিকদের শিশুদের স্বাস্থ্য পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে বলা হয়েছে।’’ কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে জানুয়ারি থেকে এ দিন পর্যন্ত ভাইরাল নিউমোনিয়া নিয়ে পিকু-তে ভর্তি ২৬ জনের মধ্যে ১৬ জন অ্যাডিনোভাইরাসে আক্রান্ত। তার মধ্যে জানুয়ারিতে তিন ও চলতি মাসে এক জনের মৃত্যু হয়েছে।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Adenovirus Viral fever Recombinant Virus

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy