Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪
office

বিরক্তিকর সহকর্মী? জব্দ করুন এই সব কৌশলে

অফিসে কেউ যদি একটু বেশিই বিরক্তির কারণ হয়ে দাঁড়ান, তা হলে তার সঙ্গে কিছু কৌশল অবলম্বন করে চলুন। এতে তিনিও বিরক্ত করার সুযোগ পাবেন না এবং আপনিও বার বার বাগ্‌বিতণ্ডায় না জড়িয়ে ঠান্ডা মাথায় কাজ করতে পারবেন।

বিরক্তিকর সহকর্মী কাজের সঙ্গে মনেরও ক্ষতি করে। ছবি: শাটারস্টক।

বিরক্তিকর সহকর্মী কাজের সঙ্গে মনেরও ক্ষতি করে। ছবি: শাটারস্টক।

নিজস্ব প্রতিবেদন
কলকাতা শেষ আপডেট: ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ১৪:২১
Share: Save:

অফিসে কাজের সময় মাথা ও মেজাজ দুই-ই যদি নিয়ন্ত্রণে না রাখতে পারেন, তা হলে তা যেমন কাজের ক্ষতি ডেকে আনবে, তেমনই প্রভাব ফেলবে আপনার মানসিকতার উপরেও। তাই অফিসে কাজের জায়গাটি হওয়া উচিত সবচেয়ে মনের মতো। এই জায়গাটিতেই দিনের বেশির ভাগ সময় কাটে। তাই এখানে স্বস্তি বা শান্তির পরিবেশ না থাকলে চাপের মুখে কাজ করাও যেমন অসম্ভব, তেমনই পেশার প্রতিও আসতে পারে বিরক্তি।

অফিসের নানা রাজনীতি, ওঠা-পড়া ও কাজের দায়িত্বর সঙ্গে যুঝতে গেলে কাজের জায়গায় সুস্থ পরিবেশ থাকা জরুরি। কিন্তু অনেককেই অফিসে নানা রকম সমস্যার মুখে পড়তে হয়। তার মধ্যে অন্যতম কোনও সহকর্মীর বিরক্তিকর আচরণ। এমনিতেই অফিসে বিভিন্ন পরিবেশ থেকে আসা নানা মনের মানুষদের সঙ্গে কাজ করতে হয়। তাই সকলের সঙ্গে মনের মিল হওয়া সম্ভবও নয়। তাই অল্পবিস্তর মানিয়েগুছিয়ে নিতে হয় সকলের সঙ্গেই।

তার মধ্যে কেউ যদি একটু বেশিই বিরক্তির কারণ হয়ে দাঁড়ান, তা হলে তার সঙ্গে কিছু কৌশল অবলম্বন করে চলুন। এতে তিনিও বিরক্ত করার সুযোগ পাবেন না এবং আপনিও বার বার বাগ্‌বিতণ্ডায় না জড়িয়ে ঠান্ডা মাথায় কাজ করতে পারবেন।

আরও পড়ুন: রেস্তরাঁয় গিয়ে স্রেফ এই খাবারগুলি এড়িয়ে চললেই ওজনও বাড়বে না, শরীরও সুস্থ থাকবে

মন-মেজাজ ঠান্ডা না হওয়া পর্যন্ত কোনও উত্তপ্ত বাক্যবিনিময়ে অংশ নেবেন না।

মনে রাখবেন, অফিসটা কাজের জায়গা। আপনার কোনও বিরক্তিকর সহকর্মীর সঙ্গে আপনার সমস্যা নিয়ে অন্য সহকর্মীরা আপনার পক্ষ নিলেও বা তা নিয়ে সেই সহকর্মীর সমালোচনা করলেও এই অশান্তি বার বার হতে দেবেন না। এতে কাজের পরিবেশ নষ্ট হয়। ধীরে ধীরে তাঁর সঙ্গে আপনিও হাস্যাস্পদ হয়ে ওঠেন। তাই প্রথম থেকেই এমন সহকর্মীর সামনে নিজের ব্যক্তিত্ব বজায় রাখুন। যাতে সহজে আপনার সঙ্গে কোনও বিতর্ক বা অকারণ ঝঞ্ঝাটে তিনি না জড়াতে পারেন। কাজের প্রয়োজন বা দরকারি ক’টা কথা ছাড়া এমন মানুষের সঙ্গে খুব একটা অন্য কথায় যাবেন না। তাঁর বলা কোনও কথাতেও মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকুন। সাধারণত এঁরা এক কথার অন্য মানে করে তা নিয়ে সমস্যা তৈরি করেন। তাঁর বলা কথা বা মন্তব্য নিয়ে অকারণে মাথা গরম করবেন না। বরং সে সব কথাকে মজার ছলে নিয়ে বুঝিয়ে দিন আপনি সে সব কথাকে কোনও গুরুত্বই দেননি। উপেক্ষাই এই ধরনের মানুষকে জব্দ করার সবচেয়ে বড় অস্ত্র।

আরও পড়ুন: চল্লিশ পেরোলে চোখ দেখিয়ে নেওয়া উচিত

এই ব্যক্তি যদি আপনার চেয়ে বড় পদমর্যাদার হন, তা হলেও তাকে রেয়াত করা ঠিক হবে না। বরং এ সব ক্ষেত্রে বুদ্ধি খাটিয়ে সম্পর্ক ভাল রাখুন। যে সব বিষয়ে তিনি আলোচনা করতে পছন্দ করেন বা যে সব বিষয়ে তিনি বিরক্ত হন না, পারলে সেগুলোই আলোচনা করুন। নিজের কাজে এমন কোনও ফাঁকও রাখবেন না, যা থেকে তিনি বিরক্ত করার সুযোগ পান। যদি এঁর সঙ্গে কোনও বিষয়ে সমস্যা তৈরিও হয়, তা হলে মন-মেজাজ ঠান্ডা না হওয়া পর্যন্ত কোনও উত্তপ্ত বাক্যবিনিময়ে অংশ নেবেন না। বরং সংযত হয়ে তাঁকে জানান, এই বিষয়ে কিছু পরে আপনি তাঁর সঙ্গে আলোচনা করবেন। তবু এমন মানুষের কোনও রকম সমস্যার জন্য যদি নিজের কাজের কোনও ক্ষতি হয়, তা হলে তাকে সে বিষয়ে অবগত করুন। তার পরেও অভ্যাস না বদলালে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলুন।

(শুরু হয়েছে আমাদের নতুন বিভাগ 'HELLO DOCTOR'। এ বারের বিষয় ‘ব্রণর সমস্যা’। এ বিষয়ে আপনার প্রশ্ন পাঠান query@abpdigital.in এই মেল আইডি তে। উত্তর দেবেন ত্বক বিশেষজ্ঞ সঞ্জয় ঘোষ।)

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Life Hacks Office Manners Daily Hacks
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE