কর্পূর ও তার তেল নানা অসুখ সারাতেও কাজে লাগে। ছবি: শাটারস্টক।
গৃহস্থ বাড়িতে পুজোপাঠ বা জামাকাপড়ের যত্নের ক্ষেত্রেই মূলত কর্পূর ব্যবহৃত হয়। কোনও কোনও বাড়িতে পোকামাকড়ের উপদ্রব দূর করতেও এটি ব্যবহৃত হয়। আবার কৃত্রিম উপায়ে তৈরি কর্পূরকে ভেষজ চিকিৎসার অন্যতম উপাদান হিসাবে ব্যবহার করা হয়।
কিন্তু রোজের গার্হস্থ ব্যবহার ছাড়াও প্রাকৃতিক কর্পূরের এমন নানা অজানা ব্যবহার আছে, যা জানলে অবাক হবেন! কর্পূর গুঁড়ো বা তার তেলের এই সব ব্যবহার যেমন নানা অসুখ সরায়, তেমনই ত্বক পরিচর্যাতেও কাজে আসে এই কর্পূর। জানেন কী ভাবে?
ইতিহাসের পাতায় আজকের তারিখ, দেখতে ক্লিক করুন — ফিরে দেখা এই দিন।
আরও পড়ুন: মাতৃগর্ভে থাকাকালীন শিশু কেন লাথি মারে জানেন?
ত্বকের যত্নে অন্যতম উপকারী উপাদান এই কর্পূর। ত্বকে চুলকানি বা র্যাশের সমস্যাকে দ্রুত মেটায় এই কর্পূর। এক টুকরো ভোজ্য কর্পূরকে জলের সঙ্গে মিশিয়ে আক্রান্ত স্থানে লাগিয়ে কিছু ক্ষণ রাখার পর ধুয়ে দিন। ত্বকে প্রদাহ ও র্যাশের সমস্যা কমে যাবে। তবে সরাসরি রক্তের সংস্পর্শে আনবেন না কর্পূরকে। এতে বিষক্রিয়া ঘটতে পারে। তাই কাটা জায়গায় কর্পূর কতখনও লাগাবেন না। শীত কালে বুকে কফ জমা, শ্লেষ্মাজমিত সমস্যা নতুন নয়। ঠান্ডা লেগে নাক বন্ধ হয়ে যাওয়াও এই ঋতুর খুব স্বাভাবিক সমস্যা। এমন হলে গরম সরষের তেলের সঙ্গে সামান্য কর্পূর গুঁড়ো মিশিয়ে নিন। এ বার রোগীর বুকে ও পিঠে এই তেল মালিশ করলে আরাম পাবেন সহজেই।
আরও পড়ুন: একেবারে কম খরচে এই শীতে ত্বকের শুষ্কতাকে বিদায় জানান এই উপায়ে
কর্পূর থেকে কিছু এসেনশিয়াল অয়েলও প্রস্তুত হয়। কর্পূরজাত এসেনশিয়াল অয়েল আমন্ড তেলের সঙ্গে মিশিয়ে ত্বকের মেচেতা বা কালো দাগের উপর মালিশ করুন। কর্পূরের প্রভাবে দাগ সহজে সরবে। আমন্ড তেল ত্বকের মৃত কোষ ঝরিয়ে ত্বকে এনে দেবে জেল্লা। শীতে মাথার চুল পাতলা হয়ে যাওয়া বা খুশকির সমস্যায় অনেকেই ভোগেন। নারকেল তেলের সঙ্গে কর্পূর এসেনশিয়াল অয়েল মিশিয়ে চুলে মাখুন। সারা রাত রাখার পর সকালে শ্যাম্পু করে ধুয়ে দিন চুল। এতে যেমন চুল ঝরার পরিমাণ কমবে, তেমনই এটি খুশকির সমস্যা কমাতেও সাহায্য করবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy