বিদিশার নিশার মত চুল এখন বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই শুধু জীবনানন্দের কবিতাতেই পাওয়া যায়। আজকের যুগের ব্যস্ততায় চুলের যত্নের সময় না থাকায় চুল কেটে ছোট করে ফেলাতেই বেশি স্বচ্ছন্দ। অল্পবিস্তর চুল রোজ ঝরে যায়, তাই তাই নিয়ে মাথা না ঘামানোই ভাল।
আসলে প্রত্যেক কোষের মত চুলেরও নির্দিষ্ট আয়ু আছে। প্রকৃতির স্বাভাবিক নিয়মে প্রতিদিনই কিছু পুরনো চুল ঝরে যায়, একই সঙ্গে নতুন চুল গজায়। কিন্তু মাঝে মাঝে আঁচড়ালেই রাশি রাশি চুল উঠে আসে, শ্যাম্পু করলেও তাই। অবশ্য এই সমস্যা শুধু আমার আপনাদের একার নয়, পৃথিবীর প্রতি চার জনের এক জন চুল পড়ে যাওয়ার সমস্যায় ভোগেন। বিভিন্ন কসমেটিক্সের ব্যবহার করে সমস্যা আরও বাড়িয়েও তোলেন। কিছু বড় অসুখের পর হু হু করে চুল পড়ে যায়।
সমস্যাটা হয় তখনই যখন যে অনুপাতে চুল ঝরে তার থেকে কম চুল গজালে। একজন মানুষের দিনে ১০০ টা পর্যন্ত চুল ঝরে যেতে পারে। তবে নাগাড়ে চুল ঝরতে থাকলে এক জন ত্বক বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া উচিত। চুল গজানো থেকে ঝরে যাবার মধ্যে তিনটি পর্যায়ে আছে। অ্যানাজেন, ক্যাটাজেন ও টেলোজেন। চুল গজানোর পর বেড়ে ওঠে অ্যানাজেন ফেজে। ক্যাটাজেন অবস্থায় চুল আর বাড়ে না। টেলোজেন দশায় চুল ঝরে যায়। চুল ঝরা আটকাতে কী কী করা প্রয়োজন, জানালেন চিকিৎসক।