শীতকাতুরে? এর পিছনে এ সব কারণ নেই তো!

শীত হোক বা বর্ষা, আবহাওয়ায় কিছুটা স্যাঁতসেঁতে ভাব এলেই কি আপনার শীত করে? এ অনুভূতি আপনার একার নয়। বরং কম-বেশি অনেকের মধ্যেই এমনটা দেখা যায়। অন্যদের তুলনায় একটু বেশি শীতকাতুরে হলে অনেকেই নানা অসুখের ভয় পান, ভাবেন হয়তো শরীরের অভ্যন্তরে বাসা বাঁধছে এমন কোনও অসুখ, যার প্রকোপে অল্পেই শীত করছে।

চিকিৎসকদের মতে কিন্তু তেমনটা সব সময় নয়। শরীরের এই তাপমাত্রা গ্রহণ করার ক্ষমতা এক এক জনের এক এক রকম। তবে শীত করার এই প্রবণতা মানেই তা যেমন বড় কোনও অসুখের লক্ষণ সব সময় নয়, তেমন এ কিছু শারীরিক দুর্বলতার লক্ষণ তো বটেই।

সুতরাং বড় কোনও অসুখের সম্ভাবনা না থাকলেও এই সব দুর্বলতাকে অবহেলা করাও উচিত নয়। দীর্ঘ দিন ধরে এ সব দুর্বলতা পুষে রাখলে পরে তা বড় অসুখ ডেকে আনতে পারে। কী কী কারণে এমন শীত শীত অনুভূতি হয় আপনার, জানেন?

আরও পড়ুন: বুট বা চটির তলায় হিল?এ সব জানলে আজ থেকেই বদলাবেন জুতো

চিকিৎসকদের কথায়, শরীরে বি ১২ ভিটামিনের ঘাটতি হলে এমন শীত শীত ভাব আসতে পারে। রক্ত পরিবহনের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে ভিটামিন বি ১২। রক্ত শরীরকে গরম রাখে, তাই ভিটামিন বি ১২-এর ঘাটতি হলে শরীর ঠান্ডা হয়ে শীত করে। থাইরয়েড গ্রন্থিও শরীরে ঠান্ডা অনুভবের অন্যতম কারণ। অনেকের শরীরে থাইরয়েড গ্রন্থি ঠিকমতো কাজ করে না। হাইপো থাইরয়েডের জেরে অতিরিক্ত শীত করে। এই সব রোগীদের গরমের অনুভূতিও খুব। কাজেই খুব শীত অনুভূত হলে থাইরয়েড পরীক্ষা করিয়ে নেওয়া বুদ্ধিমানের কাজ।

আরও পড়ুন: কিডনিতে পাথর রুখতে অবশ্যই মেনে চলুন এ সব

শরীর পর্যাপ্ত পরিমাণে প্রোটিন ও আয়রনের জোগান না থাকলেও শীত করতে পারে। লোহা আমাদের শরীরের লোহিত রক্ত কণিকায় অক্সিজেন সরবরাহ করতে অন্যতম মুখ্য ভূমিকা পালন করে। তা ছাড়া শরীরের প্রতিটি রক্ত কোষে খাদ্যগুণ ও পুষ্টি পৌঁছে দিতেও সাহায্য করে। তাই শরীরে আয়রনের ঘাটতি হলে তা স্বাভাবিক ভাবেই শীতের অনুভূতি আনে। আপনি কি ধূমপান করেন? শুনতে অবাক লাগলেও এটিও শীত করার পরোক্ষ কারণ। অতিরিক্ত ধূমপানের ফলে রক্তনালীগুলো সঙ্কুচিত হয়ে গিয়ে রক্ত সংবহনের মাত্রা কমে যায়। ফলে সব সময় একটা শীত শীত ভাব অনুভূত হয়।