বিছানার পাশের টেবিলে গাছ রাখলে ঘরের শোভা যেমন বাড়বে, তেমন দূষিত বায়ুও পরিস্রুত হবে। ছবি: সংগৃহীত।
পরিবেশে দূষণের মাত্রা দিন দিন বাড়ছে। প্রাণ ভরে বিশুদ্ধ বাতাস নেওয়ার অবকাশ নেই। বাড়ির বাইরে তো বটেই, ঘরের মধ্যেও দূষণের মাত্রা কম নয়। পরিস্থিতি এমন যে ঘরের বাইরে বেরোলে আবার মাস্ক পরার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা। কিন্তু ঘরের বাতাস পরিস্রুত করবেন কী করে? ইদানীং অনেকেই বাড়িতে ‘এয়ার পিউরিফায়ার’ নামক যন্ত্রটি রাখেন। কিন্তু এই ধরনের যন্ত্র বেশ খরচসাপেক্ষ। তাই সকলের পক্ষে কেনা সম্ভব নয়। তবে এমন কিছু গাছ রয়েছে, যেগুলি বিছানার পাশের টেবিলে রাখলে ঘরের শোভা যেমন বাড়বে, তেমন দূষিত বায়ুও পরিস্রুত হবে।
১) চাইনিজ় ব্যাম্বু
অন্দরসজ্জায় এ ধরনের গাছের জু়ড়ি মেলা ভার। চলতি কথায় এই গাছকে ‘লাকি ব্যাম্বু’ও বলা হয়। এই ধরনের গাছ বাড়িতে রাখা শুভ বলেও মনে করেন অনেকে। সাধারণত, অত্যন্ত কম যত্নআত্তিতে ভাল থাকে লাকি ব্যাম্বু।
২) অ্যান্থুরিয়াম
ঘরের যে কোনও জায়গায় রাখা যায়। আলো ভালবাসে এই গাছ। সারা বছর লাল রঙের ফুল ফোটে। পিস লিলি-র মতো এর মাটিও একটু ভিজে রাখতে পারলে ভাল হয়। বাতাস থেকে বিভিন্ন ধরনের দূষিত পদার্থ শোষণ করে নিতে পারে এই গাছ।
৩) জেড প্লান্ট
খুব কম জলে বেঁচে থাকে এই গাছগুলি। খুব বেশি আলোরও প্রয়োজন নেই এদের। তাই ঘরের কোণে, যেখানে সরাসরি সূর্যের আলো পৌঁছয় না, সেখানেও রাখতে পারেন এই গাছগুলি। সপ্তাহে এক দিন বা কোনও কোনও সময়ে দশ দিনে এক বার জল দিলেও চলে।
৪) অ্যালো ভেরা
অ্যালো ভেরা সাকিউলেন্ট বা ক্যাকটাস জাতীয় গাছ। অর্থাৎ, অল্প জলে, শুকনো আবহাওয়াতেও অ্যালো ভেরা ভাল থাকে। টবে ক্যাকটাস সয়েল অথবা সাধারণ মাটি ভরে দিন। খেয়াল রাখুন, যেন প্রতিটি টবেই বেশ কয়েকটি করে গর্ত বা ড্রেনেজ হোল থাকে। কারণ, মাটি অতিরিক্ত জল ধারণ করলে অ্যালো ভেরা গাছ নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে।
৫) মনস্টেরা
সবুজের কোনও আভা যদি বুঝতেই না পারেন, তা হলে আর ঘরে গাছ রেখে কী লাভ। তেমনই একটি গাছ মনস্টেরা। বিছানার পাশে, কিংবা জানলার ধারে রাখতে পারেন এটি। অন্দরসজ্জার ক্ষেত্রে পছন্দের প্রথম সারিতেই রয়েছে এই গাছ। গাছটি বড় হতে একটু সময় লাগে। তবে বড় হওয়ার পর গাছটির পাতার নকশা আপনাকে মুগ্ধ করবেই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy