Advertisement
E-Paper

বাড়়িতে রোজ স্ত্রীর সঙ্গে অশান্তি হচ্ছে? দাম্পত্যে সুখ ফেরাতে নিজেকে একটু বদলে দেখুন

ভালবাসার মানুষের সঙ্গেই তো আমাদের যত মান-অভিমানের পালা চলে। তবে এই পর্ব খুব বেশি দিন চালিয়ে যাওয়া কিন্তু কাজের কথা নয়। গোটা বিষয়টি বুদ্ধি করে সামলে নিলে দু’জনের সম্পর্ক আরও মধুর হয়।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২৩ জানুয়ারি ২০২৪ ১৬:৪৫
দাম্পত্যে সুখ ফিরবে কী ভাবে?

দাম্পত্যে সুখ ফিরবে কী ভাবে? ছবি: শাটারস্টক।

দাম্পত্যে সুখ টিকিয়ে রাখার কি আদৌ নির্দিষ্ট কোনও ফর্মুলা আছে? জীবনে আর একটি মানুষ জড়িয়ে পড়লে কিছু কথা মাথায় রেখে চলতে হয় বইকি! দাম্পত্যে সুখী থাকার অর্থ তো আপনার পাশাপাশি অপর মানুষটিও যাতে সুখী থাকে সে বিষয়টিও নিশ্চিত করা। সব সম্পর্কেই ভালবাসার পাশাপাশি ঝামেলা-অশান্তি লেগে থাকে। ভালবাসার মানুষের সঙ্গেই তো আমাদের যত রকম মান-অভিমানের পালা চলে। তবে এই মান-অভিমানের পর্ব খুব বেশি দিন চালিয়ে যাওয়া কিন্তু মোটেও কাজের কথা নয়। গোটা বিষয়টি বুদ্ধি করে সামলে নিলে দু’জনের সম্পর্ক আরও বেশি মধুর হয়। সম্পর্ক টিকিয়ে রাখার মূল চাবিকাঠি কী?

রোম্যান্স: একে অপরের মনে কী চলছে, তা জানা ভীষণ জরুরি। সঙ্গীর মন ভাল করার পথটাও কিন্তু আপনাকেই খুঁজে বার করতে হবে। ভালবাসা থাকলেই হল না। কখনও কখনও ভালবাসা দেখাতেও হবে। সঙ্গীকে ছোটখোটো সারপ্রাইজ়, সঙ্গীর প্রশংসা করা, মাঝেমধ্যেই দু’জনে কোথাও বেরিয়ে পড়া— জীবনে এই ছোট ছোট বদলগুলি এনেই দেখুন না!

কৃতজ্ঞতা প্রকাশ: সম্পর্ক মানেই তো সঙ্গীর সুখে-দুঃখে একে অপরের পাশে থাকা। তবে অনেক সময়েই আমরা সঙ্গীকে ধন্যবাদ বলি না। প্রিয়জনকে কথায় কথায় ধন্যবাদ জানানোর দরকার নেই। তবে মাঝেমধ্যে এই শব্দটি সামনের মানুষটির মন ভাল করে দিতে পারে। আপনি যে তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞ, সেটা কখনও কখনও ভাষায় প্রকাশ করা জরুরি।

সময়: সম্পর্ক ভাঙার অন্যতম কারণ কিন্তু একে অপরকে সময় না দেওয়া। দৈনন্দিন নানা সূক্ষ্ম বিষয় একে অপরের সঙ্গে ভাগ করে নেওয়া, একে-অপরের বক্তব্যকে গুরুত্ব দেওয়া— এ সবের মধ্যেই লুকিয়ে থাকে সঙ্গীকে চেনার চাবিকাঠি। তাই দিনের একটা সময় সঙ্গীর জন্য বরাদ্দ রাখুন।

মিলেমিশে কাজ: একে অপরের সঙ্গে সময় কাটানোর সুযোগ খুঁজুন। বাড়ির কাজ মিলেমিশে করতে পারেন। দেখবেন সম্পর্কের জটিলতা অনেকটাই কেটেছে। শুধু বাড়ির কাজ নয়, একে অপরের সঙ্গে সময় কাটানোর জন্য একসঙ্গে জিমে যেতে পারেন, সুইমিং করতে পারেন। সেই সময় না হলে রাতে খানিক ক্ষণ হাঁটাহাঁটি করতে পারেন। একে অপরের যত কাছাকাছি থাকবেন, ভুল বোঝাবুঝি ততই কমবে।

পুরনো বিবাদ ভুলে যাওয়া: পুরনো কোনও সমস্যা বা বিবাদকে ঝগড়ার মাঝে টেনে আনবেন না। যাঁকে ভালবাসছেন তাঁর ছোটখাটো ভুল ক্ষমা করে দিন। বার বার অতীতের বিবাদের প্রসঙ্গ টেনে আনলে কখনই সুখী হবে না দাম্পত্য।

Relationship Tips Relationship
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy