সুগন্ধ যেমন মন ভাল করে দেয়, তেমনই বিশ্রী বা ভ্যাপসা গন্ধের প্রভাব পড়ে মেজাজেও। বাড়িতে পোষ্য থাকলে বা কখনও হেঁশেল, স্নানঘর থেকেও এমন গন্ধ বেরোয়, যা মোটেই সুখকর নয়। এমন সমস্যা সমাধানে সহজ কৌশল হল, ঘর সুবাসিত করার স্প্রে বা রুম ফ্রেশনার, বলবেন সকলেই। স্নানঘরের জন্যও মেলে এমনই জিনিস। কিন্তু এ সবেই থাকে কৃত্রিম বা রাসায়নিক উপাদান। কোনও কোনও রুম ফ্রেশনারের চড়া গন্ধ অনেকেরই সহ্য হয় না, কারও আবার এতে শ্বাস নিতেও সমস্যা হয়। তার চেয়ে বরং আস্থা রাখতে পারেন ঘরোয়া পন্থায়। হেঁশেলের উপকরণেই সুবাসিত হতে পারে ঘর। শুধু জানতে হবে সঠিক কৌশল।
পোষ্য থাকলে: পোষ্য থাকলে তার গায়ের গন্ধে ঘর ভরে থাকে। বাড়ির সদস্যদের তা নিয়ে বিশেষ অসুবিধা না হলেও, বাইরে থেকে আসা অতিথিরা তা ভাল মতো টের পান। পোষ্যের ব্যবহার্য জিনিসপত্রগুলি পরিষ্কারের সময় বেকিং সোডা ব্যবহার করতে পারেন। আদরের সারমেয় যে সোফায় বসে, কার্পেটে শুয়ে থাকে সেগুলিতে কিছুটা বেকিং সোডা ছড়িয়ে দিন। কিছু ক্ষণ পরে ভ্যাকিউম ক্লিনার দিয়ে পরিষ্কার করে নিন। বেকিং সোডা ঘরের ভ্যাপসা গন্ধ বা অন্য গন্ধ দূর করতে সাহায্য করে।
আরও পড়ুন:
ঘর ভরুক সুগন্ধী বাষ্পে: একটি পাত্রে জল নিয়ে দারচিনি, পাতিলেবু বা কমলালেবুর খোসা এবং সামান্য রোজ়মেরি এসেনশিয়াল অয়েল মিশিয়ে ফুটিয়ে নিন। আঁচ কমিয়ে রাখলে সেই বাষ্পে ভরবে ঘর। ছড়িয়ে পড়বে প্রাকৃতিক সুবাস। বাড়িতে অ্যারোমা হিউমিডিফায়ার যন্ত্র থাকলে তাতে এই জল ঢেলে দিন। ঘর ভরবে সৌরভে।
বেসিনে দুর্গন্ধ: হেঁশেলের বেসিনে শাকসব্জি, মাছ, মাংস ধোয়ার ফলে বিশ্রী গন্ধ হয়। নিকাশি নালা থেকেও দুর্গন্ধ বেরোয় মাঝেমধ্যেই। এমন সমস্যার সহজ সমাধান হল সেখানে পাতিলেবু বা কমলালেবু জাতীয় ফলের খোসা ফেলে দেওয়া। গরম জলে এই ধরনের খোসা বেশ কিছু ক্ষণ রেখে জল ঢেলে দিলেও কাজ হবে।
মাইক্রোঅয়েভ অভেনে খাবারের গন্ধ: খাবার গরম থেকে রান্না হয় মাইক্রোঅয়েভ অভেনে। কখনও খাবার চলকে পড়ে যায় সেখানে। শুধু সাবান জল দিয়ে পরিষ্কার করলে খাবারের গন্ধ যায় না। এক কাপ জলে কয়েক ফোঁটা ভ্যানিলা এক্সট্র্যাক্ট মিশিয়ে ৫ মিনিট মাইক্রোঅয়েভ অভেনে ঘুরিয়ে নিন। এতেও কাজ হবে।
সিগারেটের গন্ধ: ঘরে বসে ধূমপানের অভ্যাস? ঘর ভরে যায় গন্ধে? ঘরে এক কাপ জলে কিছুটা সাদা ভিনিগার মিশিয়ে রেখে দিন। খুব সহজ ব্যপার, কিন্তু এতেও কাজ হবে। শুধু যে ধূমপায়ীদের সুবিধা হবে তা নয়, ঘরের ভ্যাপসা গন্ধও কেটে যাবে।